খুলনা: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন মাস্ক খুলে নেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন সাইফুল ইসলাম নামের এক রোগী। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনারর পর মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুনীতি দমন কমিশন খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম অভিযান চালায় হাসপাতালে।
দুদক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রোগীর মৃত্যুর জন্য দায়ী ওয়ার্ডের আউটসোর্সিং ক্লিনার আব্দুল জব্বার রোগীর সিলিন্ডারসহ অক্সিজেন মাস্ক খুলে নিয়ে আরেক রোগীকে দেন। এর আধাঘণ্টার মধ্যেই সাইফুল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। অভিযুক্ত ক্লিনারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে বিভিন্ন রোগীকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে দুইজন নারী দালালকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সর্পোদ করা হয়েছে। দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছে হাসপাতালে অভিযান চালমান রয়েছে।
এদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডের আউটসোর্সিং কর্মচারী (ক্লিনার) ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া অক্সিজেন খুলে নিলে সাইফুল ইসলাম (৩৮) কয়েক মিনিটের মধ্যে মারা যাওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টম্বর) হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন খুলনার সর্বস্তরের ছাত্র জনতা। বিক্ষোভ শেষে তারা হাসপাতালের পরিচালক বরাবর মৌখিক অভিযোগ পেশ করেন।
এসময় উপস্থিত জনতা হাসপাতালের দুর্নীতি বন্ধের দাবি জানান। ভুক্তভোগী ও শিক্ষার্থীরা বলেন, এ হাসপাতালে নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। সঠিকভাবে সেবা দেওয়া হয় না। সন্তান জন্মের পর খালারা জোরপূর্বক টাকা দাবি করেন। এখন অস্বীকার করলে পরেও এসে টাকা আদায় করে নেন। বকশিশ ছাড়া তারা কাজ করতে চান না, বকশিশ পেলে যেন ঈদের মতো খুশি হন। ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া অক্সিজেন খুলে নেওয়ার কারণে যে নির্মম মৃত্যু হয়েছে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা চাই না। আমরা চাই হাসপাতাল চলুক স্বচ্ছতার ভিত্তিতে। এখানে টেস্ট করানো যায় না, মেশিন থাকলেও সেগুলো অচল অবস্থায় পড়ে আছে।
এমআরএম