ক্রিকেট
প্রথম টেস্টই এনে দিয়েছে ইতিহাসগড়া জয়। কিন্তু এবার যা হলো তা হয়তো অনেকেই ভাবেননি। পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকেই ধবলধোলাই করল
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে ইতিহাসে নিজেদের মাটিতে একবারই সিরিজ হেরেছিল পাকিস্তান। ২০২২ সালে ইংল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে
প্রথম ইনিংসে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দল। ২৬ রানেই নেই ৬ উইকেট। সেখান থেকে মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গী করে অসাধারণ এক জুটি গড়লেন লিটন
পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলকে ধবলধোলাই করে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে আন্তরিক
কখনো ভরসা হলো ধৈর্য, কখনো ইতিবাচকতা। দ্রুত উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় পড়ে গেল দল, ধৈর্য ধরে এগিয়ে নিলেন কেউ। কখনো ইতিবাচকতায় গড়ে
লাঞ্চের পর জয়ের স্বপ্ন নিয়েই মাঠে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু ৫৭ রানের এক জুটির পর অল্প সময়ের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরে যান মুমিনুল হক ও
সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল গতকালই। হাসান মাহমুদের পাঁচ উইকেটে অল্প রানেই আটকে রাখা যায় পাকিস্তানকে। পরে ওপেনাররা এনে দেন দারুণ শুরু।
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির মঞ্চ ছিল নারী জাতীয় ক্রিকেট লিগ। ঘরের মাঠ থেকে সরে গিয়ে আগামী অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হবে নারী
প্রথম টেস্ট জিতে এমনিতেই এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়টি জিতলে বা ড্র করলে সিরিজটাও নিজেদের করে নেবে টাইগাররা। সেই লক্ষ্যে বেশ
বাংলাদেশকে একটু আশা জুগিয়েছিল তৃতীয় দিনের শেষটা। এরপর যত সময় গড়িয়েছে, তারা কেবল গেছে এগিয়েই। লিটন দাসের সেঞ্চুরির পর পাকিস্তানকে
সম্ভাবনার উঁকি দেখা গিয়েছিল আগের দিনই। সকালের সেশনে সেটি হয়েছে আরও জোরালো। চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনটিও নিজেদের করে নিয়েছে
হাসান মাহমুদ নাকি নাহিদ রানা। ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার তুলে নেবেন কে? এনিয়ে সুস্থ একটি প্রতিযোগিতা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত মীর
সাদমান ইসলাম ক্যাচ মিস না করলে প্রথম বলেই আউট হতে পারতেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু এরপর যতটা সময় থেকেছেন, ততটা সময় বাংলাদেশের
আগের দিনই ছড়িয়েছিল দারুণ কিছুর সম্ভাবনার সুবাস। সকালের শুরুটা তত ভালো না হলেও প্রথম স্পেলেই উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ। পরের
কথায় বলে 'সকালেই দিন বোঝা যায়'। বাংলাদেশের সকালটা হলো ঠিক তেমনই। একে একে পাকিস্তানের চার ব্যাটারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের
উইকেটের চারপাশে চার-ছক্কা মারার দক্ষতার কারণে ‘৩৬০ ডিগ্রি’ তকমা পেয়েছেন আয়ুশ বাদোনি। এবার ক্রিস গেইলের রেকর্ড ভেঙে আলোচনায়
২৬ রানে নেই ৬ উইকেট। দিশেহারা বাংলাদেশের পথ হারানোটাই ছিল অনুমিত। কিন্তু হুট করে দুজন নেমে যান মেরামতের লড়াইয়ে। রেকর্ড গড়া জুটিতে
সকালেই বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে গুমোটভাব, আধারও। ২৬ রানেই নেই ৬ উইকেট। তখন হয়তো সবার ভাবনায় ফলো-অন এড়ানো যায় কি না। তবে ভাগ্য বদলে
দীর্ঘদিন পর হাসলো লিটন দাসের ব্যাট। ক্রিজে ছিলেন শেষ ভরসা হয়ে। দলের বিপদে হাল ধরার পর তুলে নিয়েছেন অসাধারণ সেঞ্চুরি। এরপর ছুটছিলেন
মেহেদী হাসান মিরাজ না পারলেও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন দাস। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে থেকে অসাধারণ এক ইনিংস খেলে যাচ্ছেন ডানহাতি এই
পুরোনো সংবাদ গুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন