ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘ওলামা মাশায়েখদের ত্যাগ স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৩১, অক্টোবর ১০, ২০২৫
‘ওলামা মাশায়েখদের ত্যাগ স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে’ ...

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, ইতিহাসে ওলামা-মাশায়েখরা জুলুমের বিরুদ্ধে, পরাধীনতার বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, পাকিস্তানের বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল স্বাধীনতা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ওলামা-মাশায়েখের ভূমিকা ইতিহাসের অবিচ্ছিন্ন অংশ।

 

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজমহল কমিউনিটি সেন্টারে ৫ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওলামা-মাশায়েখদের সাথে লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানেও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ শতাধিক আলেম শাহাদাতবরণ করেছেন, পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করেছেন।

ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে ওয়াজ-নসিহত ও জুমায় খুতবা দেওয়ার কারণে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। জুলাই আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেওয়ার অসংখ্য আলেম অপদস্ত হয়েছেন, হামলার শিকার হয়েছেন, চাকরিচ্যুত হয়েছেন এবং শাহাদাতবরণ করেছেন। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ ওলামা মাশায়েখদের ত্যাগ স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। জামায়াতের ৫ দফা গণদাবি আদায়ে সোচ্চার হোন।  

লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আ.ন. ম নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা নায়েবে আমীর ড. হেলাল উদ্দিন মোহাম্মদ নোমান। বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি নুরুল আলম তালুকদার, হেফাজতে ইসলাম লোহাগাড়া উপজেলার সহ-সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দিন হেলালী, আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু মুসা মুহাম্মদ খালেদ জামীল, চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শাহে আলম এবং বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদে খতিবসহ ওলামা নেতৃবৃন্দ।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে জেলা আমীর বলেন, জুলাই বিপ্লবকে টেকসই করতে হলে প্রভিশনাল সাংবিধানিক আদেশে জুলাই সনদকে আইনী মর্যাদা দিতে হবে। নামে বেনামে পতিত স্বৈরাচারের পুনর্বাসন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে। ৩০/৩৫ ভাগ ভোট পেয়ে ফ্যাসিস্ট হওয়ার আশঙ্কা রোধ করতে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক হার তথা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন দিতে হবে। লুটেরা ও খুনিদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে এবং সকল দলের জন্য সমান সুযোগের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।

গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবু তাহের, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা সলিমুল্লাহ সেলিম, অধ্যাপক জালাল আহমদ, সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যাপক মুহাম্মদ হাসান সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।

বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।