চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) মধ্যে ভেটিং পরামর্শক হিসেবে চুক্তি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) সভাকক্ষে ‘চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মাস্টারপ্ল্যান’ প্রকল্পের ভেটিং কার্যক্রম নিয়ে সভা ও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়েটের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ফৌজিয়া গুলশানা রশিদ লোপা এবং চউকের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন উপ-প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ও মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক পরিকল্পনবিদ মো. আবু ঈসা আনছারী।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম।
চউকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সচিব রবীন্দ্র চাকমা, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এএএম হাবিবুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মনজুর হাসান, নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ জহির আহমেদ, ঊর্ধ্বতন স্থপতি মো. গোলাম রব্বানী চৌধুরী, নগর পরিকল্পনাবিদ সাইয়েদ ফুয়াদুল খলিল আল ফাহমী প্রমুখ।
প্রকল্প পরিচালক মো. আবু ঈসা আনছারী মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্প বিষয়ে চউকের পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ বিবরণ তুলে ধরেন। চুয়েটের পক্ষ থেকে স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন এবং মাস্টারপ্ল্যান ভেটিং প্রকল্পের টিম লিডার অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান প্রকল্প সংশ্লিষ্ট জনবল কাঠামো ও তাদের কর্মদক্ষতা এবং কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে চুয়েটের ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান বলেন, আমরা আশাবাদী চুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে এই ভেটিং কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। চট্টগ্রাম মহানগরের টেকসই উন্নয়নে এই কাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উভয় প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রচেষ্টা সফলভাবে মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।
চউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মাস্টারপ্ল্যান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিকল্পনার ভেটিং কার্যক্রমে চুয়েটের অভিজ্ঞ শিক্ষক-গবেষকরা যুক্ত হওয়ায় আমরা আশাবাদী, পরিকল্পনার গুণগত মান আরও সমৃদ্ধ হবে। চুয়েটের অ্যাকাডেমিক দক্ষতা ও গবেষণা অভিজ্ঞতা আমাদের শহরের জন্য টেকসই ও বাস্তবভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
এসি/টিসি