ঢাকা, বুধবার, ৬ কার্তিক ১৪৩২, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্দরে সাড়ে ৬০ টন ঘনচিনি আটক 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩৮, অক্টোবর ২১, ২০২৫
বন্দরে সাড়ে ৬০ টন ঘনচিনি আটক 

চট্টগ্রাম: তিন কনটেইনারে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ৬০ হাজার ৪৮০ কেজি ঘনচিনি আটক করা হয়েছে। এসব পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ২ কোটি টাকা।

এ পণ্যের শুল্কহার ৬১ দশমিক ৮০ শতাংশ।

ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির চেয়ে ৩০-৫০ গুণ বেশি মিষ্টি।

মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকলেট, কনডেন্সড মিল্ক ও শিশুখাদ্যে অসাধু ব্যবসায়ীরা ঘনচিনি ব্যবহার করছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, ক্যান্সারসহ কিডনি ও জটিল রোগের কারণ।  

সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ চালান আটক করা হয়।  

সূত্র জানায়, ঢাকার মতিঝিল জীবন বীমা ভবনের এইচপি ইন্টারন্যাশনাল সোডা অ্যাশ লাইট ঘোষণায় চীন থেকে গত ১৬ আগস্ট চালানটি আমদানি করে। চালানটি খালাসের জন্য চট্টগ্রামের সিটি গেইটের গোল্ডেন কনটেইনার ডিপোতে আনা হয়। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টম হাউস চট্টগ্রাম কনটেইনারগুলোর খালাস কার্যক্রম স্থগিত করে। ১৬ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কায়িক পরীক্ষা এবং নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই নমুনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানো প্রযুক্তি সেন্টার, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব এবং কাস্টম হাউসের ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তিনটি ল্যাবের পরীক্ষাতেই ওই পণ্য ঘনচিনি (Sodium Cyclamate) হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।  

ঘনচিনির অপব্যবহার রোধে সরকার পণ্যটি আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২৪ এর আমদানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় রাখা হয়েছে ঘনচিনি।  

কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচএম কবির জানিয়েছেন, কাস্টমস আইন ২০২৩ এর বিধান অনুযায়ী ঘনচিনির চালানটি আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।  

এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।