কলকাতা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আগামী ৬ নভেম্বর এশিয়া সফরের শুরুতে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই যাচ্ছেন। সেখানে একদিন থেকে চলে যাবেন ভারতের মূল রাজধানী নয়াদিল্লিতে।
তবে ভারতে ওবামার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত যুক্তরাষ্টের প্রশাসন ১৬ শ’ নিরাপত্তা কর্মীকে ভারতে নিয়ে আসছে। উচ্চ পর্যায়ের প্রশিণ পাওয়া এই বিশাল নিরাপত্তারী দল ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থা ও নিরাপত্তা রীদের সমান্তরালে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
নয়াদিল্লিতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইতিমধ্যে বেশকিছু নিরাপত্তা কর্মকর্তা ভারতে এসে পৌঁছেছেন। এছাড়া গত ১৫ দিনে কয়েক দফায় ওবামার নিরাপত্তা রায় নিয়োজিত ওয়াশিংটন প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ভারতের বিভিন্ন শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলকায় জরিপ ও পরিদর্শন করে গেছেন।
সফরকালে প্রেসিডেন্ট ওবামা যেসব জায়গায় যাবেন এবং যেসব হোটেল বা ভবনে থাকবেন সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তারা। ভারতীয় কর্তৃপ সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তনের সুপারিশ করেছেন মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, ওবামার ভারত সফরের সময় বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওবামার সঙ্গে সাাতের জন্য তদবির শুরু করেছেন। এদের কয়েকজন দরবার করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে, আবার কয়েকজন সরাসরি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে সবশেষে যুক্তরাষ্টের প্রশাসন এসব আবেদনের জবাবে কাউকেই সবুজ সংকেত দেয়নি।
একটি সূত্র জানিয়েছে, মূখ্যমন্ত্রীরা ওবামার সান্নিধ্যপ্রার্থী হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে নিজ নিজ রাজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপারে তদবির করা।
গতবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল কিনটনের ভারত সফরের সময় অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু এমনভাবে নিজেকে উপস্থাপিত করেছিলেন যে তাতে মনে হয়েছিল তিনিই ভারতের ভবিষ্যৎ নেতা। এতে প্রভাবিত হয়ে বেশ কিছু মার্কিন শিল্পপতি অন্ধ্রমুখী হয়ে পড়েন। চন্দ্রবাবুর এই কৌশলে পরবর্তীতে ব্যাপক ফায়দা পেয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ।
সেই অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে এবার অন্যান্য রাজ্যের নেতাদের টেক্কা দিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী অশোক চবন যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজি আকর্ষণের আশায় আগে থেকেই ওবামার সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার তার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি।
পরে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের কর্তাদের বলা হয় যে, মুম্বাইয়ে ভারত-মার্কিন বিজনেস সামিটে যেন অন্তত মুখ্যমন্ত্রী অশোক চবন ও রাজ্যপাল শঙ্কর নারায়ণনকে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি করা হয়। কিন্তু শুধু মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীই নন, শেষমেষ ওবামার সঙ্গে সাাতে পাগলপারা আরও কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও হতাশই হতে হয়েছে।
অবশ্য এর মূল কারণ হিসেবে ওবামার আঁটসাট কর্মসূচির কথাই বলেছেন সফর প্রটোকলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯:৪৯ ঘণ্টা, ২৮ অক্টোবর, ২০১০