বেইজিং: চালকবিহীন গাড়ি পাড়ি দিল ইউরোপ, এশিয়া। হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটা আসলে এরকমই।
তবে দুর্ঘটনা এড়াতে ভ্যানে দুজন প্রকৌশলী ছিলেন।
চালকবিহীন ভ্যানটি গত ২০ জুলাই ইতালি ছেড়ে আসে এবং বৃহস্পতিবার চীনের সাংহাইয়ের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে পৌঁছে।
তিন মাসের এ সফরে গাড়িটা পূর্ব ইউরোপ, রাশিয়া, কাজাখস্তান, গোবি মরুভূমি এবং চীনের মহাপ্রাচীর পাড়ি দিতে হয়। তবে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে এককভাবে বৈদ্যুতিক শক্তিতে চলা ভ্যানটিকে বড় ধরনের কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি।
ভ্যানটি এমনকি পথে থেমে যাত্রীও তুলে নিয়েছিলো বলে এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণকারী গবেষকরা জানান।
প্রধান গবেষক অ্যালবার্তো ব্রোগি বলেন, ‘আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত। এটা আমাদের যানবাহন সংক্রান্ত রোবটের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। ’
ইতালির প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ভিসল্যাব এ ভ্যানটির নকশা করে। এতে ক্যামেরা, কার্বন-ডাই-অক্সাইড সেন্সর, জিপিএস যন্ত্র এবং লেজার স্ক্যানারসহ ১২টি পরিশোধিত সেন্সর লাগানো হয়।
ইতালি থেকে চীন যাওয়ার পথে ভিসল্যাবের এ ভ্যানে কোনো মানচিত্র ব্যবহার করা হয়নি। ঘণ্টায় ভ্যানটি ৩৭ মাইল পথ পাড়ি দেয় এবং পর্যাপ্ত ব্যাটারি রিচার্জ করে দিনে চার ঘণ্টা ভ্রমণ করে।
বিশেষ প্রয়োজনে সফরে দুজন প্রকৌশলী ছিলেন। তারা মাঝে মাঝে গাড়ি চালনা করেন। তবে অধিকাংশ সময়ই তা মানুষের সাহায্য ছাড়াই চালিত হয়।
যানবাহনে চালকের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সড়কের নিরাপত্তা এবং জ্বালানির দক্ষতা বাড়াতে ইউরোপীয় গবেষণা পরিষদ প্রাথমিকভাবে এ গবেষণায় অর্থায়ন করে। তবে এ প্রকল্পে বর্তমানের যানগুলোর জন্য উপযোগী স্বল্প ব্যয়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে গবেষকরা জানান।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর ১২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫০৪ ঘন্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১০