বেইজিং: নোবেল কমিটির চেয়ারম্যানের সমালোচনা করেছে চীনের সরকারি গণমাধ্যম। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, নোবেল শান্তি পুরস্কারকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
চীনের কারাবন্দী লিউ জিয়াওবোর শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার দেশটির গণমাধ্যমে ওই অভিযোগ করা হয়।
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান থর্বজোয়ের্ন জাগল্যাণ্ডকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে চীনের সরকারি বার্তাসংস্থা সিনহুয়া একটি মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এদিকে লিউকে নির্বাচিত করার কারণ জানিয়ে গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক টাইমসে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেন জাগল্যাণ্ড।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে গত বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে সিনহুয়া বলে, ‘জাগল্যাণ্ড ও তার অনুসারীরা বার বার নোবেল পুরস্কারকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে যাচ্ছে। ’
‘গত বছর তারা ইউরোপের স্বার্থ রক্ষা করেছে এবং এ বছর তারা আবারও পশ্চিমের এমন কিছু শক্তির স্বার্থ রক্ষা করেছে যারা এখনও স্নায়ু যুদ্ধের আদর্শ রক্ষা করে চলেছে। ’
এছাড়া ‘মানবাধিকার’ শব্দটিকে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের কৌশল হিসেবে ব্যবহারের কারণে প্রতিবেদনটিতে পশ্চিমা বিশ্ব ও নোবেল কমিটির সমালোচনা করা হয়।
একইসঙ্গে চীনের ক্রমঅগ্রগতি রোধে এটা নোবেল কমিটির ষড়যন্ত্র বলেও এতে অভিযোগ করা হয়।
এছাড়া শান্তি পুরস্কার বিজয়ী লিউ দেশের আদালতে অভিযুক্ত অপরাধী ও তার সঙ্গে সেরকমভাবেই আচরণ করা হবে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
১৯৮৯ সালে তিয়ানমেন চত্ত্বরে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদে উসকে দেওয়ার অপরাধে সরকার তার শাস্তির মেয়াদ বাড়ায় বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
১৯৯১ সালে তাকে মুক্তি দেওয়া হলেও তিয়ানমেনের প্রতিবাদকারীদের মুক্তির চেষ্টার অপরাধে তাকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ১৯৯৬-১৯৯৯ পর্যন্ত তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।
সবশেষ চীনের রাজনৈতিক পুনর্গঠনের দলিল প্রকাশের অপরাধে গত ডিসেম্বরে তাকে আবারও ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে ৮ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল বিজয়ের পর লিউ’র স্ত্রীকে গৃহবন্দী রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১০