গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কিছুই। বসতবাড়ি, হাসপাতাল, উপাসানালয়ের পর এবার তারা হামলা করেছে জাতিসংঘ শরণার্থী স্কুলে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান নেভি পিল্লাই গাজায় ইসরায়েল সম্ভবত যুদ্ধাপরাধ করছে এমন মন্তব্যের একদিন পর এই হামলা চালানো হলো।
গাজায় হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে বেইথ হানুন এলাকায় এই স্কুলটি মূলত শরণার্থী শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এরকম আরো বেশ কিছু স্কুলকে শরণার্থী শিবির হিসেবে ব্যবহার করছে ফিলিস্তিনিরা।
হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে দুই শতাধিক।
এই নিয়ে ১৬তম দিনে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৭২৫ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে সাড়ে চার হাজারের বেশি। আরো ইসরায়েলের ৩০ সেনা নিহত হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে আল-জাজিরার প্রতিনিধি নিকোল জনসন ৩২ জন নিহতের খবর দিলেও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১৫ জন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, অনেকে হতাহত হয়েছে।
তবে ইসরায়েলের দাবি, স্কুলটি জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তাছাড়া সেখানে অস্ত্রশস্ত্র রাখা হতো। একই কারণে এর আগে জাতিসংঘ বেশ কয়েকবার ফিলিস্তিনি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে।
ফিলিস্তিনিরা বলছে, স্কুলটিকে ঘিরে কোনো মিলিটারি কার্যক্রম পরিচালিত হতো না। হামলার শিকার এক প্রত্যক্ষদর্শী কামাল আদওয়ান হাসপাতাল থেকে জানান, তাদের স্কুলে থাকতে বলা হয়েছিল কারণ সেটি ছিল নিরাপদ স্থান।
তিনি বলেন, আল্লাহর কসম; সেখানে কোনো ফাইটার ছিল না। স্কুলের ভেতর থেকে একটিও গুলি বের হয়নি। তবে কেন স্কুলটি ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলো? কেন? কেউকি এর ব্যাখ্যা দিতে পারবেন?
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৪