ঢাকা: প্রায় ছয় বছর আগে জোর করে হিউম্যান ইমিউনো ডেফিশিয়েন্সি (এইচআইভি) পরীক্ষার মুখোমুখি হওয়া মালাবির ১১ যৌনকর্মী ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (২০ মে) আফ্রিকান দেশটির হাইকোর্ট ওই যৌনকর্মীদের ক্ষতিপূরণ দিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
আইনজীবী সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ২০০৯ সালে দেশটি দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাবানজা থেকে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন ১১ যৌনকর্মী। তারপর মতের বিরুদ্ধে তাদের এইচআইভি পরীক্ষার মুখোমুখি করা হয় এবং ওই পরীক্ষার ফলাফল ওপেন কোর্টে প্রকাশ করা হয়।
হাইকোর্টের বিচারপতি দোরোথি কামাঙ্গার আদালত তার আদেশে বলেন, ওই যৌনকর্মীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং সেটা দু’সপ্তাহের মধ্যে তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যাপারে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকাকে ‘অযৌক্তিক, অনর্থক, অন্যায় ও অবৈধ’ অভিহিত করে বিচারপতি বলেন, যৌনকর্মীদের অমতে জোর করে এইচআইভি টেস্ট করে সেটা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়েছে। এটা তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন ও মানহানিকর। কর্তৃপক্ষ হেফাজতে নিয়ে পরীক্ষা করানোর জন্য তাদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম জানায়, আটকের পর পরীক্ষায় এইচআইভি ভাইরাস থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় ওই যৌনকর্মীদের সাত মার্কিন ডলার করে অর্থদণ্ড দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় সেসময়।
বৃহস্পতিবার আদালতের দেওয়া এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে ক্রিসপিন সিবান্দে নামে এক শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী বলেন, এ যুগান্তকারী রায় প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হওয়া যৌনকর্মীদের বিজয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৫
এইচএ