বেইজিং: চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি চীনও বৃহৎ পরিসরে একটি নৌ ও বিমান মহড়া সম্পন্ন করেছে। চীনের সরকারি বার্তাসংস্থা সিনহুয়া শুক্রবার এ তথ্য জানায়।
এর তিন দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ওই বিতর্কিত জলসীমা নিয়ে বিবাদের মীমাংসা হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি ও নেভির পক্ষ থেকে ডুবোজাহাজ ও যুদ্ধজাহাজের বড় একটি বহর এ মহড়ায় অংশ নেয়। মহড়া চলাকালে এগুলো থেকে নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। নৌ বাহিনীর বিমানও “আকাশ নিয়ন্ত্রণ অভিযান” এর আয়োজন করে।
একইসঙ্গে সামরিক গোলন্দাজ বাহিনীও চীনের পশ্চিম উপকূলে একটি মহড়া সম্পন্ন করে।
তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পরিষ্কার নয় যে, চীনের আয়োজিত মহড়াদুটি পূর্ব-পরিকল্পিত নাকি যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার চার দিনব্যাপী নৌ মহড়ার জবাবে এর আয়োজন করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ নৌ মহড়া গত বুধবার শেষ হয়েছে। উত্তর কোরিয়া এবং চীনের হুমকির মুখেও দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের ওই নৌ মহড়া সম্পন্ন করে। দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ চিওনান ডুবির প্রতিবাদে ও উত্তর কোরিয়াকে চাপে রাখার জন্যই মূলত ওই মহড়ার আয়োজন করা হয়।
সিউল বরাবরই যুদ্ধজাহাজ ডুবির ঘটনায় উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করে আসছে। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বাণিজ্য অংশীদার চীন ঘটনাটি নিয়ে উত্তর কোরিয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়।
২৫ থেকে ২৮ জুলাই চার দিনব্যাপী দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের নৌ মহড়া নিয়ে বেইজিং গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেছিল। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিলো মহড়াটি চীন ও কোরীয় উপদ্বীপের মধ্যবর্তী পীত সাগরে অনুষ্ঠিত হবে। পরে বেইজিং এর প্রতিবাদের মুখে সেটি জাপান সাগরে স্থানান্তরিত করা হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১০