নাইরোবি: কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট মোয়াই কিবাকি শুক্রবার দীর্ঘ অপোর পর নতুন সংবিধানে স্বার করেছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে একটি জাতীয় গণভোটের মাধ্যমে সংবিধানটি পাস করা হয়।
রাজধানীর উহুরু পার্কে প্রেসিডেন্টের স্বারের সময় বিশাল জনতা সমবেত হয়। সহিংসতা ঠেকানোর অংশ হিসেবে সংস্কারের লক্ষে এই সংবিধান প্রণয়ন করা হলো। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
প্রেসিডেন্ট কিবাকি সংবিধানের নথি জনতার সামনে বাতাসে আন্দোলিত করলে তারা উৎফুল্ল প্রকাশ করে। সেনাবাহিনীর স্যালুট ও বিশাল পতাকা উত্তোরনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানকে স্বাগত জানানো হয়।
১৯৬৩ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতার লাভের পর প্রণীত সংবিধানটি এর মাধ্যমে বাতিল হয়ে গেল। এর মাধ্যমে দুই কবিশিষ্ট পার্লামেন্ট ও মতার বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থা চালু হলো।
অনেকে মনে করেন, নির্বাহী শাখা থেকে নিয়ন্ত্রণ স্থানান্তরের ফলে ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঝুঁকি কমবে। এর আগে, যে আদিবাসী জনগোষ্ঠীই মতায় গেছে তারা অনেক লাভবান হয়েছে।
গত নির্বাচনের পর প্রেসিডেন্ট কিবাকির পে জালভোটের ঘটনা ঘটেছে এমন অভিযোগ আনে বিরোধী দল। এতে এক হাজার তিনশ আদিবাসী মানুষ নিহত হয়।
বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, নতুন সংবিধানের মাধ্যমে পূর্ব আফ্রিকার বৃহৎ অর্থনীতি উন্নতি দিকে যাবে। গত কয়েক বছরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ও বিশ্ব মন্দার সময়ে কেনিয়ার অর্থনীতির অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১০