করাচি: পাকিস্তানের হাজার হাজার শিশু অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছে। দক্ষিণ পাকিস্তানের দুটি শহরে শনিবার নতুন করে বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কার পর জাতিসংঘ এ উদ্বেগ প্রকাশ করে।
বন্যাদুর্গত এলাকার শিশুরা অপুষ্টিজনিত রোগের ঝুঁকিতে থাকায় ত্রাণ কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমেই বেড়ে চলেছে বলে জানায় জাতিসংঘ।
বিপর্যয়ের প্রতি আরও আন্তর্জাতিক সাড়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে জাতিসংঘের মানবিক সমন্ময়কারী মার্টিন মোগওয়ানজা বলেন, ‘যদি কোনো উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে পুষ্টিহীনতার কারণে বন্যা দুর্গত এলাকার ৭২ হাজার শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি দেখা দিবে। ’
ইউনিসেফের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা ক্যারেন অ্যালেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ডায়রিয়া ও পুষ্টিহীনতাসহ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। ’
এদিকে সারাদেশে বন্যার পানি কমতে থাকলেও আরব সাগরের বড় বড় ঢেউর তোড়ে সিন্ধু প্রদেশের থাট্টা শহর আবার নতুন করে বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।
এছাড়া পানির তোড়ে নদীর তীর ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়ে সিন্ধু প্রদেশের ত্রাণ কর্মকর্তা রিয়াজ আহমেদ শুম্রো রয়টার্সকে বলেন, ‘বন্যার পানি এখনও শহরে না পৌঁছালেও খুব শিগগিরই শহরটি প্লাবিত হবে। ’
শহরের বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ এখনও অক্ষত থাকলেও কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এরইমধ্যে হাজার হাজার মানুষ শহরটি ছেড়েছেন বলেও জানান ত্রাণ কর্মকর্তা।
পাকিস্তানে সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ পর্যন্ত এক হাজার ৬শ’ মানুষ নিহত হয়েছে। এতে বসতবাড়ি, অবকাঠামো এবং কৃষিখাতের ব্যবপক ক্ষতি হয়েছে। একইসঙ্গে বন্যার কারণে এ পর্যন্ত ছয় লাখ মানুষ তাদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫৪৫ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১০