ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন

নজরদারিতে বিশ্ব পুঁজিবাজারের ওয়াচডগ খ্যাত ‘দ্য বিগ ফোর’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
নজরদারিতে বিশ্ব পুঁজিবাজারের ওয়াচডগ খ্যাত ‘দ্য বিগ ফোর’

নজরদারিতে রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির রাঘববোয়াল হিসেবে খ্যাত ‘দ্য বিগ ফোর’। ওয়্যারকার্ড কেলেঙ্কারির পর বিশ্বের বৃহৎ চার নিরীক্ষা (অডিটিং) সংস্থার ভূমিকাও প্রকাশ্যে এসেছে।

যদিও তাদের কাজ কোম্পানিগুলোর প্রতি আস্থা তৈরি করা। তবে আপাত দৃষ্টিতে তাদের প্রতারণামূলক বিভিন্ন কাজ প্রকাশ্যে আসছে।

‘দ্য বিগ ফোর’ কী?

‘দ্য বিগ ফোর’ একক কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বৃহত্তম অ্যাকাউন্টিং সংস্থাকে একসঙ্গে এ নামে ডাকা হয়। এগুলো হচ্ছে- আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়োং (ইওয়াই), প্রাইস ওয়াটার হাউজ কুপার্স (পিডব্লিউসি), ক্লেনভেল্ড পেট মারউইক গোয়ের ডিলার (কেপিএমজি) এবং ডেলোয়েট। অডিটিং বা নিরীক্ষণ পরিসেবা ছাড়াও ট্যাক্স, কৌশল এবং ব্যবস্থাপনা পরামর্শ, মূল্যায়ন, বাজার গবেষণা, নিশ্চয়তা এবং আইনি পরামর্শমূলক ইত্যাদি সেবা দিয়ে থাকে এ ‘বিগ ফোর’।

কী কাজ করে ‘দ্য বিগ ফোর’?

যদিও এ প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম সাধারণ মানুষের কাছে তেমন পরিচিত নয়, তারপরও এগুলো বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এ সবগুলো প্রতিষ্ঠানই অনেক বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

দীর্ঘ দশ বছর ধরে আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়োং (ইওয়াই) নিরীক্ষকরা ওয়্যারকার্ডের (জার্মান ভিত্তিক পেমেন্ট প্রসেসর এবং আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, যা ইতোমধ্যে দেউলিয়া হয়ে গেছে) বার্ষিক আর্থিক বিবৃতিগুলোকে প্রত্যয়িত করেছেন। তারা উদঘাটন করতে ব্যর্থ হয়েছেন যে প্রতারকদের একটি চক্র বিগত কয়েক বছর ধরে ওয়্যারকার্ডের বইগুলোতে ‘বিলিয়ন’ লিখতে অ্যাকাউন্টিং কৌশল ব্যবহার করছে।

ওয়্যারকার্ডের শত শত কর্মচারী তাদের চাকরি হারিয়েছে এবং হাজার হাজার বিনিয়োগকারী ৪.৫ বিলিয়ন ইউরো হারিয়েছে। অডিটররা কেন জালিয়াতি ধরতে পারেনি? তারা কি অমনোযোগী ছিলেন নাকি অতিমাত্রায় দীর্ঘায়িত করেছে তাদের কাজকে?

বিশ্বব্যাপী নিরীক্ষা শিল্পে আধিপত্য বিস্তার করে আছে ‘বিগ ফোর’। তাদের কোম্পানি ও ট্যাক্স-আইন সম্পর্কিত বিস্তৃত জ্ঞান বিশ্বব্যাপী তাদের অপরিহার্য করে তুলেছে। নিরীক্ষায় প্রবৃদ্ধির সুযোগ অনেকাংশে কমে যাওয়ার কারণে বিগ ফোর এখন কেবলমাত্র বিভিন্ন কোম্পানিকে অডিট সেবাই দেয় না, বরং তারা বিভিন্ন সরকারকেও পরামর্শমূলক পরিসেবাও দিয়ে থাকে।

‘বিগ ফোর’ কি খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে? এগুলো কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে? তা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি করেছে জার্মানভিত্তি সংবাদমাধ্যম ‘ডয়েচে ভেলে’। এতে ওয়্যারকার্ড কেলেঙ্কারিতে নিরীক্ষকদের ভূমিকা অন্বেষণ, বিগ ফোরের মধ্যে সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্ব তদন্ত এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নির্ভরতার জটিল জালের ওপর এ কোম্পানিগুলোর ভূমিকার তুলে আনা হয়েছে।

ডকুমেন্টোরিতে বলা হয়, ‘বিগ ফোর’ খ্যাত এ কোম্পানিগুলোকে বিশ্ব পুঁজিবাজারের ওয়াচডগ, মুক্তবাজারের বিবেক এবং পিন-স্ট্রাইপ মাফিয়া বলা হয়। এগুলো আমাদের বাজার অর্থনীতিতে অবিশ্বাস্যভাবে প্রভাবশালী। বিশ্বের ১৫০টি দেশে ১১ লাখ কর্মী রয়েছে এ সংস্থাগুলোর। তারা বিশ্বের প্রায় সব বড় বড় কোম্পানির আর্থিক বিষয় অডিট করে।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।