বরগুনায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে।
এছাড়া নতুন করে আরও ৬৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫২২ জন।
গতরাতে মৃতদের মধ্যে পাথরঘাটা উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বেতাগী উপজেলার বাসিন্দা শেফালী বেগম পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ৪৬ জন, পাথরঘাটা উপজেলায় ১১ জন, বামনা উপজেলায় ৩ জন এবং আমতলী, তালতলী ও বেতাগী উপজেলায় একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ২০৬ জন। এদের মধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৪৫ জন।
জেলায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে সদর উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১১৬ জন, তালতলী উপজেলায় ৫৫ জন, বামনা উপজেলায় ১০৬ জন, বেতাগী উপজেলায় ৩৬ জন, আমতলী উপজেলায় ৪৩ জন এবং পাথরঘাটা উপজেলায় ১৬৬ জন।
অন্যদিকে জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৩০ জনের মধ্যে ২৪ জনের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়, চারজনের বাড়ি বেতাগী উপজেলায় এবং ২ জনের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলায়।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর চাপ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত রোগী আসছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি চিকিৎসা দিতে, তবে পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে।
এ বিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, দিন যত যাচ্ছে, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ততই বাড়ছে। কিছুতেই তা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের সচেতনতার পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও ব্যাপক মশক নিধন কার্যক্রম ছাড়া এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়।
আরএ