নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা আবহওয়া অফিস। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে জেলায় একদিনে পানি বেড়েছে ১৭ সেন্টিমিটার।
টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর সদর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, সুবর্ণচর উপজেলায় বেশি জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অনেকটা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের বসতঘরে পনি ঢুকেছে। এই চার উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান ও অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বেশি জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে জেলা শহর মাইজদীতে। এখানে বিভিন্ন সড়ক ও পাড়া-মহল্লা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নোয়াখালী পৌর শহরের স্টেডিয়াম পাড়া, জেলখানা সড়ক এলাকা, ফকিরপুর, হরিণারায়ণপুর, লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হাউজিং সহ বেশিরভাগ এলাকার সড়কগুলোতে হাঁটুর কাছাকাছি পানি উঠেছে।
এছাড়া এসব এলাকার নিচতলা ও কাঁচা ঘরগুলোতে পানি ঢুকে গেছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে বাসিন্দারা। চলতি বর্ষায় শহরের বেশিরভাগ সড়কে খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় সড়কগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এ বছর আগে থেকে বৃষ্টি দেখা দেওয়ায় জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে এ পর্যন্ত চার/পাঁচ দফায় শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। যদিও দুই/তিন দিনের বেশি স্থায়ী হয়নি। তবে এভাবে টানা বৃষ্টি হলে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।
জেলা আবওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, আাগামী চার/পাঁচদিন এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
আরএ