যশোর: ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণের কার্যক্রম উদ্বোধন হয়েছে যশোরে। জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম সোমবার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টায় শহরের বকুলতলায় স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মুক্ত করে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা, নিহতদের পরিবার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। শুরুতেই নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে বহিরাগত শক্তির বিরুদ্ধে রক্ত দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দেশের অভ্যন্তরে ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে নতুন এক ইতিহাস রচিত হয়েছে। এই স্মৃতিস্তম্ভ সেই সাহস, ত্যাগ ও প্রত্যয়ের প্রতীক হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাসার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জামায়াতে ইসলামির জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবু জাফর সিদ্দিকী, নাগরিক পার্টির নেতা নুরুজ্জামান, নিহত আব্দুল্লার পিতা আব্দুল জব্বার, জুলাই যোদ্ধা মাসুম বিল্লাহ ও আহাদ।
বক্তারা বলেন, এই স্মৃতিস্তম্ভ শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি যশোরবাসীর আত্মপরিচয়, সংগ্রাম ও সাহসিকতার প্রতীক। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি মুক্তচিন্তা ও প্রতিবাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম, যশোর পৌরসভার প্রশাসক রফিকুল হাসান, প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার শামস গোলাম হোসেন, কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার নুরশেদ আহমেদ ভূঁইয়া এবং প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সোহানুর রহমান সোহাগ। অনুষ্ঠানের শেষাংশে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।
যশোরের যে স্থানটিতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হচ্ছে সেখানে আওয়ামী লীগের আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ম্যুরাল নির্মিত হয়েছিল। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা কয়েক দফা ম্যুরালটি ভাংচুর করে। সেই ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে।
এসএইচ