বেনাপোল (যশোর): কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বন্দরের কোটি কোটি টাকার পণ্য পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে বেনাপোল বন্দর এলাকা ও কাস্টমস হাউজের মধ্যে হাঁটুসমান পানি জমে থাকতে দেখা যায়।
জানা যায়, বর্তমানে মাত্র একটি সাবমারসিবল মোটরের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা চলছে। তবে দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে তা যথেষ্ট কার্যকর হচ্ছে না। ফলে কাস্টম হাউসের নিচতলার রুমগুলোতেও পানি ঢোকার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, বেনাপোল কাস্টম হাউজের মধ্যে ও বন্দরের শেডসহ বহু স্থান হাঁটুসমান পানিতে তলিয়ে গেছে। কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ও সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের বাধ্য হয়ে পানি মধ্যে অফিস করতে হচ্ছে। এছাড়া বন্দরের খোলা আকাশের নিচে রাখা কোটি কোটি টাকার পণ্যসামগ্রী পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
বন্দরের সাধারণ শ্রমিকরা জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই বন্দর এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। যা তাদের মতো সাধারণ শ্রমিকদের জীবন-জীবিকাকে চরম হুমকির মুখে পড়ছে। শুধু এই জলাবদ্ধতার কারণে সরকার প্রতি বছর হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে তারা জানায়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য একটি স্থায়ী ও সমন্বিত প্রকল্প ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সংস্থাকে নিজ নিজ উদ্যোগে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং স্থায়ী সমাধানে কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই বেনাপোল পৌরসভা, কাস্টমস হাউস ও বন্দরের সম্মিলিত উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে একটি ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। বেনাপোল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এতে কাস্টমস, রেলওয়ে, বন্দর কর্তৃপক্ষ, একজন নির্বাহী প্রকৌশলী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
এসএইচ