দিনাজপুর: দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর)।
এবার দিনাজপুর বোর্ডের পাসের হার ৫৭ দশমিক ৪৯।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার ৪৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কেউই পাস করতে পারেননি। সারাদেশে ১১টি শিক্ষাবোর্ডে মোট ২০২টি প্রতিষ্ঠানের কেউই পাস করতে পারেননি। তার মধ্যে শুধুমাত্র দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডেরই ৪৩টি প্রতিষ্ঠানে পাস করেননি কেউ।
এর মধ্যে নীলফামারী জেলার ১০টি, কুড়িগ্রামের নয়টি, ঠাকুরগাঁওয়ের ছয়টি, লালমনিরহাটের পাঁচটি, দিনাজপুরের চারটি, রংপুরের চারটি, পঞ্চগড়ের তিনটি ও গাইবান্ধা জেলার দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৮২। এমন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে যেখান থেকে মাত্র একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড থেকে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী নীলফামারীর যে ১০টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউই পাস করতে পারেননি, তার মধে রয়েছে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল ও কলেজের ১পাঁচজন, একই উপজেলার চৌরাডাঙ্গী হাইস্কুল ও কলেজের ছয়জন, গোলমুন্ডা আদর্শ কলেজের তিনজন, কিশোরগঞ্জ উপজেলার নয়নখাল স্কুল ও কলেজের পাঁচজন, ডিমলা উপজেলার নৌতারা বালিকা স্কুল ও কলেজের তিনজন, জিলা পরিষদ স্কুল ও কলেজের দুজন, ডিমলা সীমান্ত কলেজের দুজন, গয়াখড়িবাড়ী মহিলা কলেজের দুজন, নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ সৃজনশীল কলেজের একজন ও সাতপাই হাইস্কুল ও কলেজের একজন।
কুড়িগ্রাম জেলার যে নয়টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউই পাস করতে পারেননি তার মধ্যে রয়েছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী আদর্শ মহিলা কলেজের ১পাঁচজন, টপুরচর স্কুল ও কলেজের চারজন, ফুলবাড়ী উপজেলার রাশেদ খান মেনন কলেজের ১২ জন, রাজারহাট উপজেলার সিংড়া দবড়িহাট কলেজের ১০ জন, নাগেশ্বরী উপজেলার চিলাখানা মডেল কলেজের ছয়জন, কুটি পায়রা ডাঙ্গা স্কুল ও কলেজের তিনজন, সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজের একজন, উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল ও কলেজের দুজন, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ঢোলডাঙ্গা স্কুল ও কলেজের একজন।
ঠাকুরগাঁও জেলার যে ছয়টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউই পাস করতে পারেননি তার মধ্যে রয়েছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর মহিলা কলেজের আটজন, আমানতুল্লাহ ইসলামী একাডেমি স্কুল ও কলেজের পাঁচজন, ঠাকুরগাঁও নিউ মডেল কলেজের চারজন, রানীশংকৈল উপজেলার গোগড় কলেজের পাঁচজন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই বগুলাবাড়ী হাই স্কুল ও কলেজের দুজন, পীরগঞ্জ উপজেলার একতিয়ারপুর শহীদ সালাহউদ্দীন স্কুল ও কলেজের একজন।
লালমনিহাট জেলার যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউই পাস করতে পারেননি তার মধ্যে রয়েছে- লালমনিরহাটের কালিয়াগঞ্জ উপজেলার সোনারহাট স্কুল ও কলেজের পাঁচজন, একই উপজেলার শিয়াল খোয়া কলেজের তিনজন, দক্ষিণ ঘনশ্যাম স্কুল ও কলেজের দুজন, হাতিবান্ধা উপজেলার আমিনুর রহমান কলেজের দুজন, আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী স্কুল ও কলেজের দুজন।
দিনাজপুর জেলার যে চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করতে পারেননি কেউ, তার মধ্যে রয়েছে বীরগঞ্জ উপজেলার কবিরাজহাট কলেজের ১০ জন, বিরামপুর উপজেলার বেপারীতোলা আদর্শ কলেজের তিনজন, ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর লক্ষ্মীপুর হাই স্কুল ও কলেজের দুজন, হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদার স্কুল ও কলেজের দুজন।
রংপুর জেলার যে চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউই পাস করতে পারেননি, সেগুলো হলো- মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া স্মৃতি গালর্স স্কুল ও কলেজের নয়জন, বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর বিলাতেরাল হাই স্কুল ও কলেজের চারজন, পীরগাছা উপজেলার কান্দিরহাট স্কুল ও কলেজের একজন, গঙ্গাচরা উপজেলার বড়াইবাড়ী কলেজের একজন।
পঞ্চগড় জেলার যে তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউই পাস করতে পারেননি, সেগুলো হলো- বোদা পাইলট গার্লস স্কুল ও কলেজের আটজন, তেঁতুলিয়া উপজেলার আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন কলেজের দুজন, বোদা উপজেলার মারেয়া মডেল হাই স্কুল ও কলেজের একজন।
গাইবান্ধা জেলার যে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউই পাস করতে পারেননি, সেগুলো হলো- সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ঘাগোয়া হাই স্কুল ও কলেজের পাঁচজন এবং সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী মহিলা কলেজের একজন।
এ বিষয়ে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মহা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কেউই পাস করতে পারেননি, সেগুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যা খুবই কম। এরপরও কেন পাস করতে পারেননি, সেই বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাদের এ খারাপ ফলাফল দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের পুরো ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
এসআই