এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গোটা জাতি যখন এই অর্জনে উচ্ছ্বসিত, তখন নারী ফুটবলারদের জন্য ৫০ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
ক্রীড়া উপদেষ্টার আর্থিক পুরস্কার ঘোষণাটি এসেছে এমন সময়ে, যখন দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফে নারী ফুটবলারদের উদ্দেশে কোনো পুরস্কারের ঘোষণা দেয়নি। গতকাল গভীর রাতে মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরে নারী দল। সেখান থেকে সরাসরি তাদের নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর হাতিরঝিলের অ্যাম্ফিথিয়েটারে, যেখানে বাফুফের পক্ষ থেকে আয়োজিত হয় বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
তবে অনুষ্ঠানের রঙিন আয়োজনের মধ্যেও আলোচনায় উঠে আসে একটি প্রশ্ন, নারী দলের সাফল্যের জন্য আর্থিক পুরস্কারের কোনো ঘোষণা কেন নেই? অনেকেই প্রত্যাশা করেছিলেন অন্তত উৎসাহস্বরূপ কিছু পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।
সংবর্ধনায় বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, “আমরা নারী দলের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। আপনাদের ওপর আমাদের আস্থা আছে, এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—আপনাদের পেছনে আমরা আছি। ”
তবে এই প্রতিশ্রুতি অনেককেই পুরোপুরি আশ্বস্ত করতে পারেনি। কারণ, এর আগেও ২০২২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নারী দলের জন্য দেড় কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল বাফুফে, যা এখনও তাদের হাতে পৌঁছায়নি।
এই প্রেক্ষাপটে ক্রীড়া উপদেষ্টার ৫০ লাখ টাকার পুরস্কার শুধু একটি প্রণোদনা নয়, বরং নারী দলের প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শনের একটি বাস্তব উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে নারী দলের অনেক ফুটবলার মাসে মাত্র ৫৫ হাজার টাকার সম্মানী পান। দেশে নেই ঘরোয়া লিগ বা নিয়মিত খেলার উপযুক্ত কাঠামো। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও কাঠামোগত দুর্বলতা নিয়েই তারা দেশের জন্য গড়েছেন সাফল্যের ইতিহাস। এই বাস্তবতায় ক্রীড়া উপদেষ্টার উদ্যোগ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনায় ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন ক্রীড়া বিশ্লেষকরা।
এআর/আরইউ