ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ মে ২০২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের দুই ঘণ্টা ফোনালাপ, ইউক্রেনযুদ্ধ থামবে কী?

আন্তজার্তিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৫৮, মে ১৯, ২০২৫
পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের দুই ঘণ্টা ফোনালাপ, ইউক্রেনযুদ্ধ থামবে কী?

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই এ ব্যাপারে যুদ্ধরত দুই দেশের নেতাদের চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুদ্ধবিরতিতে যেতে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতেও প্রস্তুত ট্রাম্প প্রশাসন।

এমন আবহে সোমবার (১৯ মে) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দুই ঘণ্টা ধরে ফোনালাপে ব্যস্ত ছিলেন ট্রাম্প-পুতিন। এই ফোনালাপের জেরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো সুখবর আসবে কি - সেদিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে যে ফোনালাপ হবে, তা গতকালই (রোববার) জানা গিয়েছিল। রুশ বার্তা সংস্থাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

এ বিষয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধে উভয় নেতা আলোচনা করেছেন। ট্রাম্প ওয়াশিংটন থেকে এবং পুতিন রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরের রিসোর্ট সোচি থেকে এই ফোনালাপে অংশ নিয়েছেন বলে হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই যুদ্ধের অচলাবস্থা ভাঙতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রকে শেষ পর্যন্ত এটিকে ‘নিজেদের যুদ্ধ’ হিসেবে না গণ্য করে পিছু হটতে হতে পারে।

বিবিসি জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুতিন। ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পুতিন বলেছেন, ‘আমাদের শান্তির দিকে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। এজন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলি নির্ধারণ করতে হবে।

ট্রাম্প-পুতিনের এই ফোনালাপের একদিন আগেই তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে সরাসরি বৈঠক করেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর ৩ বছরের মধ্যে প্রথম আলোচনায় বসেন তারা। সেখানে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হলেও ১ হাজার করে বন্দি বিনিময়ে রাজি হয় দুই পক্ষ। পরে যুদ্ধবিরতির আশায় ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন ইউরোপের নেতারাও।

সম্প্রতি কাতার সফরেও রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ট্রাম্প। সেদিন তিনি বলেছিলেন,  ‘আমি ও পুতিন একসঙ্গে বসা ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। ’

এতো কিছুর পরও যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে পারছে না মস্কো ও কিয়েভ। এর একমাত্র কারণ, শর্তগুলো নিয়ে চূড়ান্ত একটি সমঝোতায় পৌঁছানো যাচ্ছে না। ইউক্রেন ৩০ দিনের শর্তহীন যুদ্ধবিরতি চায়। এ শর্তে ক্রেমলিনের উদ্বেগ, নিজেদের অস্ত্র ও সেনায় সজ্জিত করার জন্য সময়টা কাজে লাগাবে ইউক্রেন।  

অপর দিকে যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে রাশিয়া তাদের দখল করা অঞ্চলগুলো ছাড় দিতে বলছে কিয়েভকে। তবে এ শর্ত কানেই তুলছেন না জেলেনস্কি।

এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।