ঢাকা: ওয়েবে সম্ভাব্য পশ্চিমা আক্রমণ থেকে বাঁচতে গ্লোবাল ইন্টারনেট থেকে সরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া।
দেশটির প্রেসিডেন্টের বাসভবন ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো এমনই আভাস দিয়েছে।
অবশ্য এ আভাসের প্রেক্ষিতে রাশিয়াকেই ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করার ছক আঁকা হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা অস্বীকার করে ক্রেমলিন জোর দিয়ে বলেছে, জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বেগ থেকেই ভিন্নমাত্রার পরিকল্পনা করছে মস্কো, বিশেষত স্নায়ুযুদ্ধের পর এবারই প্রথম পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক একেবারে তলানীতে ঠেকে যাওয়ায় এ ধরনের চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে।
রুশ সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বেশ কিছু আইন পাস করেছে দেশটির সরকার। এর মধ্যে জনপ্রিয় ব্লগারদের নিবন্ধন এবং ওয়েবসাইটগুলোর ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনাও রয়েছে।
প্রভাবশালী দৈনিক ভেদোমস্তি জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় পুতিনের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গ্লোবাল ইন্টারনেটের লজিস্টিকস-ই প্রধান আলোচ্য বিষয় হবে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের মতে, সোমবারের এই বৈঠকে জরুরি ভিত্তিতে রুশ নাগরিকদের ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পরিকল্পনার বিষয়েও পুতিন আলোচনা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ সংক্রান্ত আইন পাস করে তা ২০১৫ সালের শুরুর দিক থেকে কার্যকর করার পরিকল্পনাও চলছে ক্রেমলিনের অভ্যন্তরে।
চলতি বছরের শুরুতে ‘ওয়েব’কে ‘সিআইএ’র বিশেষ প্রকল্প’ বলে আখ্যা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। পুতিনের এ দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ হিসেবেই আমেরিকান প্রযুক্তিকে ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে এসবের ব্যবহার কমানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।
ক্রেমলিন কর্মকর্তা দিমিত্রি পেসকভ বলেন, গ্লোবাল ইন্টারনেটের প্রধান প্রশাসক কারা এটা সবারই জানা। এ অবস্থায় আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে অগ্রবর্তী চিন্তা করা উচিত।
তবে, মার্কিন বা পশ্চিমা প্রযুক্তি পরিত্যাগ করলে রাশিয়া নিজে কোনো বিকল্প উপায় বের করবে কিনা এ ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত দেননি পেসকভ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪