ঢাকা: সিরিয়ার সঙ্গে বেশ কিছু সীমান্ত এলাকা বন্ধ করে দেওয়া শুরু করেছে তুরস্ক। মাত্র দু’দিনে সোয়া লাখেরও বেশি কুর্দি শরণার্থী তুরস্কে প্রবেশ করায় দেশটির সরকার এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, রোববার কুর্দি শরণার্থীদের প্রতি সংহতি জানানো একদল বিক্ষোভকারীর সঙ্গে তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এসময় বেশ কিছু বিক্ষোভকারী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য সিরিয়া পাড়ি জমানোর চেষ্টা করে বলেও জানা যায়। সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার প্রেক্ষিতেই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের বেশিরভাগই কোবানে শহরের। শহরটি প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিতে চলেছে আইএস জঙ্গিরা।
সম্প্রতি ইরাক ও সিরিয়ার বেশি কিছু অঞ্চল দখলে নিয়ে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে চলেছে আইএস।
সর্বশেষ সংঘাতের আগে প্রায় ১০ লাখ সিরিয়ান শরণার্থী তুরস্কে আশ্রয় নেয়। সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে এই শরণার্থীরা তুরস্কে পালাতে শুরু করে।
তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী বুলেন্ত আরিঙ্ক জানান, সাম্প্রতিক সংঘাতে ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি কুর্দি তুরস্কে পালিয়ে এসেছে।
নতুন শরণার্থীরা আগেকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিতে শুরু করেছে বিধায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতো বিপুলসংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে ব্যাপক হিমশিম খেতে হচ্ছে তুর্কি প্রশাসনকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪