ঢাকা: তিন বছরের শিশু জানভি আহুজার হারিয়ে যাওয়া ও খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ার একটি সাফল্যের গল্প। জানভিকে খুঁজে পেতে সোশ্যাল মিডিয়া কী ভূমিকা পালন করেছে তা জানা গেলো তাকে খুঁজে পাওয়ার মধ্য দিয়েই।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়ে ইন্ডিয়া গেট থেকে নিখোঁজ হয় জানভি। এক সপ্তাহ পর গত রোববার রাত ৮টার দিকে জনকপুরিতে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। মাথার চুল ন্যাড়া করে দেওয়া ছাড়া শরীরের আর কোথাও কোনো ধরনের আঘাত নেই। গলায় ঝোলানো প্ল্যাকার্ড, তাতে তার নাম, বাবার নাম ও একটি মোবাইল নম্বর লেখা।
জানভিকে খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে তার মামা তরুণ গ্রোভার বলেন, আমরা ১০ জনের একটি দলে বিভক্ত হয়ে আলাদা আলাদা দায়িত্ব নেই। একজন রাজনৈতিক বিষয় অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা আমাদের সাহায্য করতে পারেন এমন কারো সঙ্গে দেখা করার দায়িত্ব নেন। একজন সবসময় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।
আর সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্ব নেন তরুণ গ্রোভার নিজেই। তিনি বলেন, টাকার বিনিময়ে ফেসবুক ও হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে আমরা জানভির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি মানুষকে জানানোর চেষ্টা করি। এর মাধ্যমে এক লাখ মানুষের কাছে জানভির ছবি পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, যখন আমরা জানভিকে খুঁজে পাই তখন তার গলায় একটি প্ল্যাকার্ড ঝুলানো ছিল। এতে লেখা ছিল-মাই নেম ইস জানভি। আই হ্যাড গন মিসিং ফ্রম ইন্ডিয়া গেট।
স্থানীয়রা তার গলার প্ল্যাকার্ডের লেখা দেখে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে (পিসিআর) ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়। এরপর জোনাকপুরি থেকে আমরা তাকে উদ্ধার করি।
দিল্লির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এসবিএস তিয়াগি জানান, ফোন কল পেয়ে রোববার রাত ৮টার দিকে আমরা তাকে উদ্ধার করি। কেউ তার গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে রেখে গেছে। তবে বিষয়টি তদন্তনাধীন থাকায় এ বিষয়ে আর কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে পুলিশ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার চাপে পড়ে যারা তাকে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিল শেষ পর্যন্ত তা পারেনি। তবে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল কিনা সে বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত রোববারই জানভিকে খুঁজে দেওয়ার জন্য সাহায্যকারীকে পঞ্চাশ হাজার রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেন দিল্লি পুলিশ কমিশনার বি এস বাস্সি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৪