ঢাকা: ইরাক ও সিরিয়ায় যুদ্ধরত ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত পেন্টাগনের একশ’ দশ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে; যার মধ্যে বিমান ও মিসাইল হামলায় নেভি’র ব্যয় হয়েছে ছয় কোটি বিশ লাখ ডলার।
সম্প্রতি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই অঞ্চলকে লক্ষ্য করে নেভি ১৮৫টি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টিই মিসাইল হামলা। আর বিমান বাহিনী প্রায় এক হাজার বিস্ফোরক নিক্ষেপ করেছে।
পারস্য উপসাগর ও লোহিত সাগরে অবস্থিত মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে এ মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। তবে বিমান বাহিনীর ব্যয়ের বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
সঠিক পরিসংখ্যান জানাতে না পারলেও হামলায় প্রতিদিন ৭-১০ লাখ ডলার ব্যয় হচ্ছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। প্রথমদিকে ব্যয় কম হলেও আগস্টের ৮ তারিখ থেকে বিমান হামলা শুরুর পর ব্যয় বাড়তে থাকে।
এদিকে, গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে আইএস’র বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র পাঁচ আরব দেশ বাহারাইন, কাতার, সৌদি আরব, জর্দান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আইএস’র যে ৩১ হাজার সৈন্য রয়েছে তার দুই-তৃতীয়াংশের অবস্থান সিরিয়ায় বলে ধারণা করছেন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে বারাক ওবামা বলেন, আইএসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। এটি ইরাক ও আফগানিস্তানের মতো হবে না। আর এ লড়াই আমাদের একক নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৪