ঢাকা: ভারতের বিহারে নির্বাচন শুরু হচ্ছে সোমবার (১২ অক্টোবর)। পাঁচ ধাপের এ নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে এদিন।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। বিরতিহীনভাবে চলে তা শেষ হবে বিকাল ৫টায়। তবে কয়েকটি অঞ্চলে নকশাল হামলার আশঙ্কা থাকায় পরিস্থিতির নিরিখে নির্ধারিত সময়ের দু’ঘণ্টা আগেই শেষ টানা হতে পারে ভোটের। এসব এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলারও ঘোষণা দিয়ে রেখেছে প্রশাসন।
৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ ধাপে এ নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এরপর ৮ নভেম্বর ভোটগণনা শুরু হবে বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিহারের নির্বাচন ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), বিরোধী দল কংগ্রেসসহ সবগুলো দলের কাছেই ব্যাপক গুরুত্ব পাচ্ছে। ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের মতো এখানেও বিজয়ের তিলক পরতে চাইছে বিজেপি। রাজ্যসভায় সদস্য সংখ্যা কম হওয়ায় এ নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সবাই।
কংগ্রেসও এক্ষেত্রে ছাড় দিতে নারাজ। নিতিশ কুমারের ছায়ায়ই দলটি এবার বাগাতে চাইছে বিহার নির্বাচন। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা নিতিশ কুমার তৃতীয় মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী হতে জোট গড়েছেন কংগ্রেসের সঙ্গে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিহার নির্বাচনে এবার ২৭ জন প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। বাকি আসনগুলোয় লড়বে মিত্র দলগুলো। এর মধ্যে ১৩ আসনে লড়বে রাম বিলাশ পশ্বনের লোক জনশক্তি পার্টি। বিরোধী শিবিরে জনতা দল (ইউনাইটেড) প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে ২৪ জন, রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টির ব্যানারে লড়ছেন ১৭ জন আর কংগ্রেস আছে ৮ প্রার্থী নিয়ে।
এদিকে, মুলায়েম সিং যাদবের সমাজবাদি পার্টিও পিছিয়ে নেই। মিত্রদের সঙ্গে জোট গড়ে ১৮ আসনে লড়ছে দলটি। বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি), যার তেমন কোনো প্রভাব নেই বিহারে, সেই দলও মাঠে নেমেছে ৪১ প্রার্থী নিয়ে। আর বামপন্থি দলগুলোর মধ্যে সিপিআইয়ের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ২৫ জন প্রার্থী। সিপিআই-এম’র হয়েও লড়ছেন ১২ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫
আরএইচ