ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

জেএমবি নেতা বোমারু মিজান ভারতে গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৮
জেএমবি নেতা বোমারু মিজান ভারতে গ্রেফতার

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) বোমা বিশেষজ্ঞ ও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুন্না ওরফে বোমারু মিজানকে ভারতে গ্রেফতার করেছে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।

সোমবার (৬ আগস্ট) কর্ণাটকের রাজধানী ব্যাঙ্গালুরুর এক গোপন আস্তানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কয়েকদিন আগে কেরালার কোত্তাকাল শহর থেকে আব্দুল করিম ওরফে ছোট (১৯) এবং মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে শাহীন ওরফে তুহিন (৩৭) নামে দুই জঙ্গিকে গ্রেফতারের পর তাদের তথ্য অনুসারে বোমারু মিজানকে ধরা হয়।

এনআইএ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) জানায়, বোমারু মিজান বিহারের বোধ গায়া ও পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানসহ একাধিক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার মূল হোতা। জেএমবির এই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের মৃত্যু পরোয়ানা জারি রয়েছে। তিনি ভারতে জঙ্গিদের সংগঠিত করতে তৎপরতা চালাচ্ছিলেন।

এনআইএর তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, বোমা মিজান ওরফে কাওসার ওরফে মুন্না ওরফে বড়ভাই ওরফে মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে তুহিন ওরফে শাহীনের নেতৃত্বে জেএমবি সংশ্লিষ্ট একটি গ্রুপ তৎপর রয়েছে ভারতে। এই বোমা তৈরির বিশেষজ্ঞকে আটক করার সময় তার কাছ থেকে বিস্ফোরক তৈরির সার্কিট, ডায়াগ্রাম, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংয়ের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে আরও দুই জঙ্গির সঙ্গে বোমারু মিজানকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি দুই জঙ্গি ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি ও রাকিবুল হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ।

পরে গভীর রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন রাকিবুল হাসান। তবে খোঁজ পাওয়া যায়নি বোমারু মিজান ও সালেহীনের। তখন থেকেই তিনি পলাতক।

চার দলীয় জোট সরকারের সময় ২০০৫ সালে সারাদেশে বোমা হামলা চালানোর সময় চট্টগ্রামে হামলাগুলোতে নেতৃত্ব দেন এই মিজানই। হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত, বিচারাধীন ১৮ মামলার আসামি এবং তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র মিজানের বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।