ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

৩১ হাজার বছর আগেও অস্ত্রোপচার হয়েছিল মানবদেহে! 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২
৩১ হাজার বছর আগেও অস্ত্রোপচার হয়েছিল মানবদেহে! 

বিশ্বের প্রাচীনতম অস্ত্রোপচারের খোঁজ পেলেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ৩১ হাজার বছর আগে এক ব্যক্তির দেহে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছিল, ইন্দোনেশিয়ায় সেই কঙ্কাল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন এক দল প্রত্নতত্ত্ববিদ।

তাদের দাবি, অস্ত্রোপচার করে ওই ব্যক্তির বাঁ পায়ের পাতা বাদ দেওয়া হয়েছিল।

ইন্দোনেশিয়ার এই কঙ্কালের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘নেচার’-এ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিয়োর একটি প্রাচীন গুহায় ওই কঙ্কালটি পাওয়া গিয়েছে। কঙ্কালটি এক প্রাপ্তবয়স্ক যুবকের বলে অনুমান করা হচ্ছে।

প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করছেন , ওই ব্যক্তি যখন ছোট ছিলেন, সম্ভবত তখন তাঁর বাঁ পায়ে ওই অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। কাটা পা নিয়েই বেশ কয়েক বছর কাটিয়েছিলেন যুবক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত না হলে এই ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার সম্ভব নয়। ৩১ হাজার বছর আগেই প্রাচীন ইন্দোনেশিয়ায় সেই চিকিৎসা সেবা পেয়েছিলেন মানুষ।  

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, এটাই প্রাগৈতিহাসিক অস্ত্রোপচারের প্রথম প্রমাণ। চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রাচীন মানুষ যে কতটা এগিয়ে ছিল, এই কঙ্কাল তারই প্রমাণ।

প্রাগৈতিহাসিক যুগ সম্পর্কে ইতিহাসবিদদের ধারণাই বদলে দিয়েছে এই নতুন আবিষ্কার।

ইন্দোনেশিয়ার লিয়াং টেবো গুহায় কঙ্কালটি পাওয়া গেছে।   পায়ের কাটা অংশে কোনও ঘা বা সংক্রমণের চিহ্ন ছিল না।  

গবেষকরা বলেছেন, পরিকল্পিত পদ্ধতিতে এই অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে কোন যন্ত্র এই অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত হয়েছিল, কীভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা হয়েছিল, তা জানা যায়নি।

মনে করা হচ্ছে, কোনো ধারালো পাথরের যন্ত্র দিয়ে পায়ের ওই অংশ কাটা হয়েছিল। সংক্রমণ আটকানো হয়েছিল উচ্চ আয়ুর্বেদিক গুণ সম্পন্ন কোনও উদ্ভিদের সাহায্যে।

এর আগে প্রাচীনতম অঙ্গচ্ছেদ অস্ত্রোপচারের নিদর্শন ছিল ফ্রান্সে। সাত হাজার বছর আগে সেখানকার এক কৃষকের হাত কেটে বাদ দেওয়া হয়েছিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে।

সূত্র: এনডিটিভি

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা,সেপ্টেম্বর০৮, ২০২২
ইআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।