সড়ক ভাঙার দায়ে লালমনিরহাটে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলুসহ ৭০ জন আসামি নিঃশর্ত খালাস পেয়েছেন।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আদীব আলী এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, গত ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচির সময় আন্দোলন করতে সড়কে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। এ সময় লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি শিমুলতলা এলাকায় রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের ওপর খুঁটি গেড়ে, কুড়াল ও কোদাল ব্যবহার করে পাকা সড়কটি নষ্ট করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এমন অভিযোগে তিনদিন পরে ৯ জানুয়ারি একটি মামলা দায়ের করেন লালমনিরহাট সদর থানার তৎকালীন এসআই জাফর ইকবাল। ওই মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবীব দুলুসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০০ থেকে ৫৫০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
সেই মামলায় সোমবার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। এতে মামলাটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আদালতে তৎকালীন রাজনৈতিক পটভূমি তুলে ধরে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মামলা থেকে নিঃশর্ত খালাস প্রার্থনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি)। আদালত যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে রায় ঘোষণা করে অভিযুক্ত সব আসামিকে নিঃশর্ত খালাস দেন।
লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) কে এম হুমায়ুন রেজা বলেন, মামলাটির অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। তৎকালীন রাজনৈতিক পটভূমিসহ সার্বিক অবস্থার কথা তুলে ধরে মামলাটিকে হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আদালতকে বুঝাতে সক্ষম হওয়ায় আদালত সন্তুষ্ট হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মামলা থেকে নিঃশর্ত খালাস দিয়েছেন।
বিএনপি নেতা আসাদুল হাবীব দুলু উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেলাম। এতে প্রমাণ হলো, কোনো ফ্যাসিবাদী সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে না; বরং গণ-আন্দোলনের মুখে তারাই পতনের শিকার হয়, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
আরএ