খুলনা: খুলনার আফিল গেটে ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মোঃ শহিদুল ইসলাম খান(৬৫) এবং তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য।
খুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা: আশরাফ হোসেন বলেন, জরুরি বিভাগে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় ও বুকে আঘাত ছিল।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাত সোয়া আটটার দিকে কেএমপির খানজাহান আলী থানাধীন আফিল গেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে খুলনা খুলনা থেকে ঢাকাগামী ট্রেন সুন্দরবন যথা সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। সুন্দরবন ট্রেনটি রাত পৌনে দশটায় খুলনা থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
খুলনার স্টেশন মাষ্টার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, রাত ১২টা নাগাদ দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। তবে দুর্ঘটনার পর থেকে ওই সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫/৩০জন। যাদেরকে খুলনার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আটজনের নাম-ঠিকানা জানা গেছে।
এরা হলেন, যশোরের অভয়নগর থানার নওয়াপাড়ার সুমনের ছেলে সাদমান (৬), যশোর সদর থানাধীন সেখহাটির হাফিজুরের ছেলে মারুফ(১৭), খুলনার বটিয়াঘাটা থানার হাটবাটির মোশারফের ছেলে মিন্টু(৪৫), খুলনার আড়ংঘাটা থানার গাইকুড়ের মৃত:শেখ রুস্তম আলীর ছেলে শেখ সাইদুল আজম(৫০), খুলনার খালিশপুরের বাস্তুহারা এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে সোহেল(৩৪), খুলনার রূপসা থানার কাজদিয়ার আশিষের মেয়ে লাবণ্য (১৫), খুলনার দৌলতপুরের রনজিত পালের ছেলে বিপ্লব(২৬) এবং যশোরের বসুন্দিয়ার ইয়াকুব মোল্লার ছেলে মাহমুদ হোসেন(৪০)।
এমআরএম