সিলেটের কানাইঘাটে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সাবানা বেগমের (২০) শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন স্বামী হোসেন আহমদ চৌধুরী (৪৫)। দগ্ধ হওয়ায় গর্ভের সন্তান মারা গেছে।
ঘটনার পর তিনদিন পলাতক থাকলেও শেষ পর্যন্ত স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ তাকে আটক করেছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে কানাইঘাট উপজেলার সাতবাঁক ইউনিয়নের চরিপাড়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে কানাইঘাটের লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের কান্দলা গ্রামের দরিদ্র দিনমজুর আব্দুল জব্বারের মেয়ে সাবানার শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বিয়ের পর থেকে পারিবারিকভাবে কলহ চলছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এ কারণে সাবানা তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ঘটনার দিন অসুস্থ স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে আনতে যান হোসেন আহমদ। শাশুড়ি তাতে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হন এবং কিছুক্ষণ পর বাজার থেকে একটি টাইগার ড্রিংকের বোতলে করে পেট্রোল কিনে এনে ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যান।
মেয়ের চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভান। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাবানাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে সাবানা একটি মৃত কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল জানান, স্ত্রীর গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় হোসেন আহমদ চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শনিবার রাতেই আমি হাসপাতালে গিয়ে সাবানার অবস্থা দেখি। পরে পুলিশকে জানানো হলে মৃত নবজাতককে দাফন করা হয়। ’
এনইউ/আরএ