ঢাকা, শুক্রবার, ২ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২২ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিকে খুব হিসাবনিকাশ করে কথা বলতে হবে: এ্যানী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০৮, জুলাই ১৭, ২০২৫
প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিকে খুব হিসাবনিকাশ করে কথা বলতে হবে: এ্যানী বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি

লক্ষ্মীপুর: প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিকে  খুব হিসাবনিকাশ করে কথা বলার ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

তিনি বলেন, গতকালকের (বুধবার) গোপালগঞ্জের কথা আমরা ভুলিনি।

আমাদের খুব সতর্ক এবং সজাগ থাকতে হবে। রাজনৈতিক ঐক্য না থাকলে ফ্যাসিস্ট এবং লুটেরা দ্বারা যে কেউ ক্ষতির শিকার হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এ্যানি।  সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷  

এ্যানি বলেন, আমরা যদি খুব সতর্ক না থাকি, যেভাবে ফ্যাসিস্ট দেশবাসীকে জিম্মি করেছিল, ঘায়েল করেছিল, আমরা সেই ঘায়েলের শিকার, ফ্যাসিস্টের শিকার, জিম্মি, গুম-খুনের মুখোমুখি হবো। ওই ধরনের পরিস্থিতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতেই হবে এবং সে পরিস্থিতি থেকে যদি বের হয়ে আসতে হয়, স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে হয়, স্বাভাবিক ব্যবসা করতে হয়, তাহলে ঐক্যটা হলো সবচেয়ে বড় জিনিস। সেখানে সর্ব প্রথম হলো রাজনৈতিক ঐক্য। যদি রাজনৈতিক ঐক্য না থাকে এবং সেটা যদি সুদৃঢ় না হয়, ইস্পাত কঠিন দৃঢ় ঐক্য না হয়, তাহলে গোপালগঞ্জে গতকাল যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল ফ্যাসিস্ট দ্বারা, খুনি দ্বারা, যারা গুম করেছে, খুন করেছে, লুটেরা দ্বারা, সেই ক্ষতির সম্মুখীন অন্য যে কেউই হতে পারে। সব রাজনৈতিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নাই।  

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীসহ সমাজে যারা আমরা বিভিন্ন পেশায় আছি, বিভিন্নভাবে বসবাস করি, সবার দায়িত্ব হলো এ মুহূর্তে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। এ সরকার কোনো ব্যক্তির সরকার নয়, এ সরকার কোনো দলের সরকার নয়। এ সরকার আমাদের দেশের আন্দোলনের ফসল। এ সরকার জনগণের সরকার। আমাদের সবার সরকার। প্রত্যাশা থাকবে, দাবিও বেশি থাকবে।  

যেহেতু এক বছর পার হয়েছে, সুতরাং দাবির পরিমাণ অনেক বেশি বেড়েছে। আমরা জানি, আপনারা সব কিছু একসঙ্গে করতে পারবেন না। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না হয়, আইনশৃঙ্খলা আমার কাছে প্রায়োরিটি। আমি স্বাভাবিক জীবন চাই। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে চাই, স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে চাই, স্বাভাবিক রাজনীতি করতে চাই। এখানে কারো ভুলের কারণে, কোনো রাজনৈতিক দলের ভুলের কারণে, কোনো ব্যক্তির কারণে আমার স্বাভাবিক জীবন, স্বাভাবিক চলাফেরা, স্বাভাবিক বসবাস, স্বাভাবিক দেশ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। এজন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি, আমরা কথা বলার সময়, কর্মসূচি দেওয়ার সময়, খুব হিসাবনিকাশ করে এগোতে হবে। হিসাবনিকাশ করেই আমাকে কথা বলতে হবে। হিসাবনিকাশ করেই আমাকে কর্মসূচি দিতে হবে। আপনারা সজাগ এবং সতর্ক থাকবেন, যোগ করেন এ্যানি।

জেলা বাজুসের সভাপতি সমীর কর্মকারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, লক্ষ্মীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি শংকর মজুমদার, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডিরেক্টর স্বপন দেবনাথ, বাজুসের আইন উপদেষ্টা মিলন মণ্ডল, প্রহলাদ সাহা রবি, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শিমুল সাহা, বাজুসের জেলা সাধারণ সম্পাদক পরেশ কর্মকারসহ অনেকে।  

বাজুসের জেলা সভাপতি সমীর কর্মকার বলেন, জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন ১৯৬৬ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু করে। আজ ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে। দেশের প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে নিয়ে বাজুস এখন ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কেক কাটা, আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা করা হয়েছে।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।