ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ভাদ্র ১৪৩২, ২২ আগস্ট ২০২৫, ২৭ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

ভাদ্রতে পাকা তালের কদর বাড়ে নীলফামারীতে

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭:৪২, আগস্ট ২২, ২০২৫
ভাদ্রতে পাকা তালের কদর বাড়ে নীলফামারীতে পাকা তাল

ভাদ্র মাস এলেই কদর বাড়ে পাকা তালের। ফলে হাটবাজার সর্বত্র মেলে এ পাকা তালটি।

ধনী-গরিব সকলেই কিনেন পাকা তাল, বিভিন্ন পিঠা তৈরি করে জামাই আদরের জন্য। গ্রামগুলোতে ভাদ্র মাসে তালের পিঠা তৈরির উৎসব দেখা যায়। বাঙালি সংস্কৃতিতে তালের পিঠার একটি বিশেষ স্থান রয়েছে এবং ভাদ্র মাস এই ঐতিহ্যবাহী খাবার উপভোগ করার উপযুক্ত সময়।

জেলার সর্বত্র এ পাকা তাল মিলছে। বড় সাইজ একশ টাকা মাঝারি ও ছোট সাইজের পাকা তাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৫০ টাকায়। এ ভাদ্র মাসে যেহেতু তালের পিঠা খাওয়ার উৎসব লাগে। তাই চাহিদাও বাড়ে তালের। গৃহিণীরা তালের রস দিয়ে সুস্বাদু পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটান। কিন্তু তালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে ভোজন রসিক বাঙালিদের।

জেলার ঢেলাপীর হাটে তাল বিক্রেতা জমিয়ার রহমান বলেন, বাজারে তালের সরবরাহ কম। তাই দামও কিছুটা বেশি। কচি তাল আগেই শেষ হয়ে যাওয়ায় পাকা তালের সংকট তৈরি হয়। বেশির ভাগ এ পাকা তাল জেলার বাইরে থেকে সংগ্রহ করে আনা। বেশির ভাগ তাল বগুড়া, জয়পুর, নাটোর, নওগাঁ প্রভৃতি এলাকা থেকে সংগ্রহ করা।  

সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও কথাসাহিত্যিক হাফিজুর রহমান বলেন, ভাদ্র মাসে তাল পাকা প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। এটি শুধু একটি ফল নয়, আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, খাদ্যাভ্যাস এবং প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের প্রতীক। তাল পাকার সময়, বিশেষ করে ভাদ্র মাসে, আমাদের মনে করিয়ে দেয় প্রকৃতির নিয়ম, ঋতুচক্র এবং মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্কের অমলিন বন্ধন। এই গরমে তাল পাকে, তাই এই সময়ে এর চাহিদা বেড়ে যায়।

জেলার সৈয়দপরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ধীমান ভূষণ জানান, তাল অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং গরম মৌসুমের ফল। তাল কচি এবং পাকা দুই অবস্থায় খাওয়া যায়। যা মানব শরীরের জন্য উপকারী। তালগাছের কাণ্ড থেকে রস সংগ্রহ করে তা দিয়ে পায়েস, গুড়, পাটালি, মিছরি ইত্যাদি তৈরি হয়।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।