ঢাকা, রবিবার, ৯ ভাদ্র ১৪৩২, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:১৬, আগস্ট ২৪, ২০২৫
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার বরিশালের মানচিত্র

বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লিটন সিকদার লিটুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি মিলন গাজি (৩২) ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার ইলাকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গ্রেপ্তার মিলন গাজি বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানাধীন পূর্ব বিল্ববাড়ি এলাকার আয়নাল গাজীর ছেলে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বরিশাল র‌্যাব-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, বরিশাল র‌্যাব-৮ এর সদর কোম্পানি এবং ঢাকা উত্তরার র‌্যাব-১ এর সিপিসি-২ এর সদস্যরা শনিবার সোয়া ১টার দিকে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগরের উত্তরখান থানাধীন মাস্টারবাড়ি এলাকা থেকে মিলন গাজীকে গ্রেপ্তার করে।

এছাড়া বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন বান্দরোড এলাকা থেকে মিলন গাজির স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার ইলাকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব মামলার বরাতে জানায়, পারিবারিক বিরোধের জেরে গ্রেপ্তারকৃত মো. মিলন গাজি ও মোসা. ইলাসহ মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা গত ৩১ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার ‍দিকে পরস্পর যোগসাজশে রামদা, দা, চাইনিজ কুড়াল, ছুরি, লোহার রড, লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বরিশাল মহানগরের বিমানবন্দর থানাধীন পূর্ব বিল্লা বাড়ি গ্রামে লিটন শিকদার ওরফে লিটুর বসত বাড়িতে হামলা চালায়।

ওইসময় ঘরের সামনে থাকা মোটরসাইকেল রাস্তায় নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিটুর ঘর কুপিয়ে ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে হামলাকারীরা ঘরের ভেতরে ঢুকে লিটুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। একই সময় তারা লিটুকে টেনে হিঁচড়ে ঘরের বাইরে নিয়ে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাতের কনুই বিচ্ছিন্ন করে পুকুরে ফেলে দেয়।

ওইসময় ভাই সুমনসহ পরিবারের লোকজন লিটুকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। অভিযুক্তরা ভিকটিমের ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার,  নগদ টাকা, দামি আসবাবপত্রসহ ১০ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমের বসত ঘরে ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে।

পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস এসে ঘরের আগুন নিয়ন্ত্রণ করে এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকজনকে আটক করে ও অন্যদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পাশাপাশি লিটুকে উদ্ধার করে স্বজনরা শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লিটনের বোন মুন্নি বেগম বাদী হয়ে ৩১ জুলাই রাতে এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

উল্লেখ্য, নিহত লিটন সিকদার লিটু ওই গ্রামের নজির সিকদারের ছেলে।  তাকে হত্যার ঘটনার পর দায়েরকৃত মামলায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

  এমএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।