ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

বাগেরহাটে হরতালে দূরপাল্লার বাসসহ সকল গণপরিবহন বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৩৪, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫
বাগেরহাটে হরতালে দূরপাল্লার বাসসহ সকল গণপরিবহন বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

বাগেরহাট: বাগেরহাটের চারটি আসন বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত হরতাল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সড়কে আগুন জ্বালিয়ে, বেঞ্চ পেতে, বাস বেঁধে ও গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করছেন হরতালের সমর্থনকারীরা।

সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির দাবি, জেলার বিভিন্ন সড়কের অন্তত ১৩৪ টি স্থানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা। যার ফলে বাগেরহাট জেলা কার্যত অন্যান্য জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এমনকি আন্তঃজেলা যোগাযোগ ব্যবস্থাও এক কথায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

এদিকে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, ধরাটা না সেতুর দুইপাশ, ফতেপুর বাজার, সিএনবি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি দেখা গেছে। এর ফলে ব্যবসায়ী ও চালকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

অন্যদিকে হরতালের সমর্থন করে বাগেরহাট জেলা জুড়ে দোকানপাট খোলেননি ব্যবসায়ীরা। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এদিকে বুধবার সকালে শুরু হওয়া হরতালের সমর্থনে রাতেও সড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে হরতালের সমর্থনকারীরা। যার ফলে রাতেও কোন প্রকার গাড়ি চলাচল করেনি সড়ক থেকে। সাধারণ মানুষ বলছে রাতে সড়ক বন্ধ থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।

গেল ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখারদাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনইজারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণ মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ ( বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা)ও বাগেরহাট-৩(কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২(বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।

 

এমআরএম

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।