ঢাকা: কাশ্মীরে বন্যার্তদের উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ তৎপরতায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ত্রাণ তৎপরতায় নেয়া পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
পাশাপাশি ত্রাণ তৎপরতায় গতি আনতে একটি সমন্বিত সংস্থার অধীনে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টিও কেন্দ্রীয় সরকারকে ভেবে দেখতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় শনিবার সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ। ওই বৈঠকে অংশ নেন পিডিপি নেতা মেহবুবা মুফতি, কংগ্রেস নেতা সাইফুদ্দিন সোজ, বিজেপি নেতা জুগাল কিশোর সহ অন্যান্য নেতারা।
এদিকে পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র ভেসে উঠতে শুরু করেছে সমগ্র কাশ্মীরে। প্রায় দশদিন পানিতে সম্পূর্ণ ডুবে থাকা রাজধানী শ্রীনগরের সর্বত্রই ধ্বংসের চিহ্ন। এ পর্যন্ত বন্যায় দুইশ’ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা করছে সরকার।
বন্যায় তলিয়ে যাওয়া জম্মু-শ্রীনগর মহাসড়কটি বন্ধ রয়েছে দশদিন ধরে। মহাসড়কের অনেক অংশে এখনও পানি থাকার পাশাপাশি অনেক জায়গার রাস্তা ভূমিধসে বিলীন হয়েছে।
তবে শনিবার থেকে কাশ্মীরের কোনো কোনো অংশে সম্পূর্ণ এবং আংশিকভাবে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর।
এদিকে বন্যা দুর্গতদের জন্য কাশ্মীরের রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই দুইশ’ কোটি রুপির একটি জরুরি তহবিল গঠন করেছে। পাশাপাশি ৬ মাস অাক্রান্ত পরিবারগুলোকে বিনামূল্যে রেশন দেয়ার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ। তবে অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের তরফে বন্যাক্রান্তদের জন্য সহযোগিতা পর্যাপ্ত নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৪