ঢাকা: ইন্দোনেশিয়া থেকে ভেসে আসা ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সিঙ্গাপুরের আকাশ। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ইতোমধ্যেই বয়স্ক, শিশু এবং যাদের অ্যাজমা ও ফুসফুসজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের বেশিক্ষণ খোলা হাওয়ায় থাকতে নিষেধ করেছে সিঙ্গাপুরের জাতীয় পরিবেশ সংস্থা।
সব মিলিয়ে প্রতিবেশী দেশ থেকে ভেসে আসা এই ধোঁয়াশা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে সিঙ্গাপুরের সরকার ও বাসিন্দারা।
একই সঙ্গে নিজেদের দেশ থেকে উৎপন্ন ধোঁয়া প্রতিবেশী দেশের অস্বস্তির কারণ হওয়ায় স্বস্তিতে নেই ইন্দোনেশিয়ার সরকারও। ইতোমধ্যেই আকাশ থেকে ধোঁয়া সরাতে ক্লাউড সিডিং কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাকার্তা।
গত বছরও এই ধোঁয়া এত মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিলো যে, এজন্য মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের কাছে ক্ষমা চান ইন্দোনেশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সুশিলো বামবাং। ধোঁয়ার কারণে ইন্দোনেশিয়াকেও কম ভুগতে হয়নি। জানা গেছে গত বছরের ধোঁয়ায় ইন্দোনেশিয়ার ক্ষতি হয়েছে ৯ বিলিয়ন ডলারের।
মূলত, প্রতি বছর চাষের মৌসুমের আগে জঙ্গল পুড়িয়ে জমি পরিষ্কার করে থাকেন ইন্দোনেশিয়ার কৃষকরা। এর ফলে সৃষ্টি হওয়া ধোঁয়া হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে পৌঁছে যায় প্রতিবেশী সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়ার আকাশে।
সিঙ্গাপুরের আবহাওয়া দপ্তর ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের দুইশ’এবং বোর্নিও দ্বীপের তিনশ’টি স্থানকে ধোঁয়ার উৎসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পাশাপাশি ধোঁয়া প্রতিরোধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সিঙ্গাপুর।
এছাড়া যে সব স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানি এসব ধোঁয়া উৎপন্নের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ ডলার পর্যন্ত জরিমানার বিধান রেখে আইন পাস করেছে সিঙ্গাপুর সরকার।
ব্যক্তি পর্যায়ের কৃষকরা ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষাবাদ করে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষাবাদের জন্য বিস্তীর্ণ এলাকার বন পোড়ানোই এই ধোঁয়ার মূল কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৪