ঢাকা: বিদ্রোহ এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ ১২ সেনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে নাইজেরিয়ার একটি সামরিক আদালত। এ ঘটনায় খালাস দেয়া হয়েছে আরও ৫ জনকে।
মঙ্গলবার দিনের শুরুতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। চূড়ান্ত অনুমোদনের পর ফায়ারিং স্কোয়াডে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে। তবে দণ্ডপ্রাপ্তরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
গত মে মাসের ১৩ তারিখে নাইজেরিয়ার বোকো হারাম অধ্যুষিত উত্তরপূর্বাঞ্চলে এই বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে বোকো হারাম অধ্যুষিত একটি এলাকায় সেনারা রাত্রিকালীন টহলে যেতে অস্বীকার করে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চাপের মুখে অভিযানে গেলেও বোকো হারামের চোরাগোপ্তা হামলার সামনে পড়ে ওই সেনারা।
বেঁচে যাওয়া সেনারা ঘাঁটিতে ফিরে এসে সপ্তম ডিভিশনের কমান্ডিং অফিসারের কাছে এর ব্যাখ্যা চান। এ সময় ক্ষুব্ধ সেনারা তার ওপর পাথর নিক্ষেপের পাশাপাশি তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। প্রাণ বাঁচাতে কমান্ডিং অফিসার একটি সাঁজোয়া গাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ায় সে যাত্রা প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
মৃত্যুদণ্ডের এই শাস্তির ব্যাপারে সামরিক আদালতের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল চিকাওমেকাও ওকোনকো বলেন, এই অপরাধের গভীরতার ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই। এই বিদ্রোহ সেনাবাহিনীর নৈতিক মনোবলের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।
বোকো হারামের জঙ্গিদের মোকাবেলায় গত ৫ বছর ধরেই ব্যতিব্যস্ত নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী।
বোকো হারামের জঙ্গিরা উন্নত অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত, পাশাপাশি যোদ্ধা হিসেবেও তারা দুধর্ষ। সে তুলনায় নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র নিম্নমানের বলে অভিযোগ নাইজেরীয় সেনাদের। এমনকি নিয়মিত খাবার ও বেতন না পাওয়ারও অভিযোগ জানিয়ে আসছে সেনারা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৪