ঢাকা: ঐতিহাসিক গণভোটে অংশ নিয়ে ‘স্বাধীনতা’ প্রত্যাখ্যান করলো স্কটল্যান্ডের জনগণ। বৃহস্পতিবার দিনভর অনুষ্ঠিত গণভোটে বৃহত্তর যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একীভূত থাকার পক্ষেই মত দেন তারা।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমগুলোর তথ্য মতে, প্রতিটি প্রশাসনিক এলাকার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ‘স্কটল্যান্ডের কি স্বাধীন দেশ হওয়া উচিত?’ শীর্ষক গণভোটে ‘না’ ভোট পড়েছে ২০ লাখ ১ হাজার ৯২৬টি, যা মোট ভোটের ৫৫.৩০ শতাংশ। আর ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৯৮৯টি, যা মোট ভোটের ৪৪.৭০ শতাংশ। আর ভোট পড়েছে মোট ৮৪.৬ শতাংশ।
কোনো পক্ষকে এই গণভোটে জিততে হলে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮২৮টি ভোট পাওয়ার প্রয়োজন ছিল। সে হিসেবে ‘অবিভক্ত যুক্তরাজ্যে’র পক্ষের ‘না’ ভোটই জয় লাভ করলো।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে একযোগে ২,৬০৮টি কেন্দ্রে এ গণভোট শুরু হয়। ৪২ লাখ ৮৫ হাজারেরও বেশি মানুষের অংশগ্রহণে এ গণভোট চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।
শুক্রবার সকালে প্রধান গণনা কর্মকর্তা (সিসিও) ম্যারি পিটকাইথলি এডিনবার্গের অনুমোদনক্রমে ৩২টি আঞ্চলিক প্রশাসনিক এলাকা থেকে গণভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ঐতিহাসিক এ গণভোটকে কেন্দ্র করে নির্ঘুম রাতযাপন করেন ব্রিটিশ ও স্কটিশ রাজনীতিকরা। যুক্তরাজ্যের প্রধান তিন দলের নেতারা স্কটল্যান্ডবাসীকে ‘না’ ভোট দিতে অনুরোধ করেন। ‘না’ ভোট দিলে তারা স্কটিশদের আরও ‘ক্ষমতা’ দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। অপরদিকে স্কটল্যান্ডের প্রথম প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্স স্যালমন্ড ভোটারদের ‘হ্যাঁ’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান এবং পূর্ণ স্বাধীনতার স্বাদ লাভের সুযোগদানের অনুরোধ জানান।
শেষ পর্যন্ত এ ফলাফলের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনসহ ‘না’ ভোটের প্রচারকরা। ফলাফল পক্ষে আসার পর স্কটিশ জনগণকে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন ক্যামেরন।
আর গণভোটের ফলাফল মেনে নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের ভোটদানকারীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ‘হ্যাঁ’ ভোটের প্রচারক অ্যালেক্স স্যালমন্ডসহ স্কটিশ রাজনীতিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৪/আপডেট ১৪০৯ ঘণ্টা
** ‘স্বাধীনতা’র পক্ষে নয় স্কটিশরা!