ঢাকা: আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পাচ্ছেন আশরাফ ঘানি আহমদজাই। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনে একমত পোষণ করার পর চুক্তির ভিত্তিতে তাকে প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের মুখপাত্র আইমাল ফাইজি জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিতে পারেন আশরাফ। এছাড়া, অক্টোবরের পয়লা তারিখ থেকেই তাকে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে দেখা যেতে পারে।
রোববার রাজধানী কাবুলে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের লক্ষ্যে একটি চুক্তিতে সই করেন আশরাফ ঘানি ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ। চুক্তি অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন আশরাফ ঘানি, আর প্রধানমন্ত্রীর সমমানের সরকারের প্রধান নির্বাহীর (সিইও) দায়িত্ব পালন করবেন আব্দুল্লাহ।
এই চুক্তির মাধ্যমে এপ্রিল ও জুনে দুই দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর দুই প্রার্থীর মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলমান বিবাদের অবসান ঘটলো। বহুল প্রতীক্ষিত এ চুক্তি সই অনুষ্ঠান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়।
তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের পূর্ণ ফলাফল শিগগির প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে ছিলেন আশরাফ ঘানি। নির্বাচন কমিশনের হিসাব মতে, ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টি মনোনীত আশরাফ প্রায় ৫৬ শতাংশ ভোট লাভ করেছিলেন। যদিও নির্বাচনে উভয়পক্ষই কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে চুক্তি স্বাক্ষরের পর উভয়পক্ষ কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে।
ঐক্যের সরকার গঠনে মতৈক্যে পৌঁছানোয় আশরাফ ঘানি ও আব্দুল্লাহকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। ক্ষমতা ভাগাভাগির ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত এ চুক্তিকে দেশের প্রগতি ও উন্নয়নের সড়ক বলে অভিহিত করেছেন কারজাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৪