ঢাকা: শিয়াপন্থি হুথি বিদ্রোহী ও সাবেক ইয়েমেনী প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহের অনুগত বাহিনী দমনে চলতি বছর ২৬ মার্চ থেকে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করেছে সৌদি নেতৃত্বে আরব রাষ্ট্রগুলোর যৌথবাহিনী। চলতি সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই অভিযানের ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক লোক বলে দাবি বিশ্ব সংস্থাটির। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশুও রয়েছে।
যৌথ অভিযান শুরুর চারদিনের মাথায় চলতি বছর ৩০ মার্চ ইয়েমেনে হুথি নিয়ন্ত্রিত হাজ্জাহ প্রদেশে মাজরাক শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালায় যৌথবাহিনী। ওই হামলায় নিহত হয় অন্তত ৪৫ জন। এছাড়া আহত হয় আরও ৬৫ জন।
গত ৭ জুন রাজধানী সানায় যৌথবাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয় অন্তত ৪৪ জন। সেই সঙ্গে আহত হয় আরও অন্তত ১৮০ জন। আহতদের মধ্যে শতাধিক নারী ও শিশু ছিলেন।
গত ৫ জুলাই হাজ্জাহ প্রদেশের আহেম মার্কেটে এক বিমান হামলায় নিহত হয় ৪৫ জন। এদের মধ্যে ৩০ জনেরও বেশি ছিলেন বেসামরিক লোক। একই মাসের ২৫ তারিখে তাইজ প্রদেশে মোখা শহরে বিমান হামলায় নিহত হয় ১২০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক। এ ঘটনায় আহত হয় আরও অন্তত দেড়শতাধিক মানুষ।
গত ২১ আগস্ট তাইজ প্রদেশে যৌথবাহিনীর অপর এক বিমান হামলায় ৬৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এ ঘটনায় একই পরিবারের ১৭ সদস্যের মৃত্যু হয়।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর তাইজ প্রদেশের আল-ওয়াহিজা গ্রামে এক বিয়ে বাড়িতে বিমান হামলা চালায় যৌথবাহিনী। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক সংগঠন এসব ঘটনায় ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি জাতিসংঘ অধিবেশনেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে। হয়তো কোনো নীতিগত সিদ্ধান্তেও যেতে পারে বিশ্ব সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
আরএইচ