কোপিয়াপো: একমাস ধরে চিলির খনিতে আটকা পড়ে আছেন ৩৩ জন শ্রমিক। সরকারি পক্ষ থেকে তাদের উদ্ধারে নানা তৎপরতা চললেও উদ্ধার নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি।
এদিকে রোববার শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা শ্রমিকদের আটকদশার একমাস উদ্যাপন করেছেন। স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় ভেপু ও বাঁশি বাজিয়ে দিনটি উদযাপন করেন তারা।
এর আগে শনিবার কোজড-সার্কিট ভিডিও-এর সাহায্যে পরিবারের সঙ্গে আটকে পড়া ৩৩ জন প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন। কোজ-সার্কিট ভিডিওলিংকের সাহায্যে ভূগর্ভ থেকে ভূগর্ভের বাইরে পাঠানে একপাক্ষিক চিত্রের মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ ঘটে।
খনিতে আটকে থাকা শ্রমিক ডারিও’র বোন এলিজাবেথ সিগোভি বলেন, ‘আমরা তারপরও তাদের মুখে গান শুনেছি। ’
চিলির প্রত্যন্ত আটাকামা মরুভূমির সান জোসে খনি ধসে পড়ার দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় পর বেঁচে থাকা ওই শ্রমিকদের সন্ধান পাওয়া যায়।
পরে শ্রমিকদের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ হওয়ায় সারা বিশ্বের মানুষ আনন্দিত হয়। তবে খুব দ্রুতই তা আতঙ্কে পরিণত হয়। কেননা ৩৩ শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য আরও চার মাসেরও বেশি সময় লাগবে।
উদ্ধার তৎপরতার অংশ হিসেবে গত সোমবার থেকে ৩০ টনের একটি খনন যন্ত্র দিয়ে সিমেন্টের দেয়ালে ছিদ্র করার চেষ্টা চলছে। তবে কষ্টকর এ পদ্ধতি ছাড়াও প্রকৌশলীদের কাছে আরও দুটি উপায় আছে।
এর মধ্যে দ্রুত খনন করতে সক্ষম এমন একটি যন্ত্র শুক্রবার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এর সাহায্যে খাদ্য সরবরাহের সুড়ঙ্গ আরও বড় করা হলেও পরবর্তীতে তা আরও বড় করে শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় পদ্ধতিতে তেল কূপ খননের জন্য ব্যবহৃত ফুটবল মাঠের সমান বড় যন্ত্র দিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে তৃতীয় সুড়ঙ্গটি খননের কাজ শুরু হবে। অর্থাৎ চিলির স্বাধীনতা দিবসে এ কাজ শুরু হবে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট জানান।
‘অপারেশন সান লোরেঞ্জ’ নামের উচ্চাভিলাষী এ উদ্ধার কাজে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১০