করাচি: পাকিস্তানের দক্ষিণের সিন্ধু প্রদেশের আরেকটি শহর রোববার বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে বন্যার কবল থেকে শহরটিকে রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে কতৃপক্ষ।
জেলার প্রশাসনিক প্রধান ইকবাল মেমন বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা বন্যার পানি থেকে জোহি শহর রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। ’
সিন্ধু প্রদেশের ২৩টি জেলার ১৯টি ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা গৃহহীন হয়েছেন।
করাচির ৩১৫ কিলোমিটার উত্তরের এ শহরটির জনসংখ্যা ৬০ হাজার। এ অবস্থায় শহরের চারদিকের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামত না করলে শহরটি দ্রুতই প্লাবিত হবে বলে কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন।
মেমন বলেন, ‘খায়েরপুর নাখান শাহ শহরের কিছু অংশ এবং সেহার শহরসহ দাদু জেলার আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার পর বন্যার পানি খুব দ্রুত গতিতে জোহি শহরের দিকে এগিয়ে আসছে। ’
তবে শহরটির ৭০ শতাংশ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জোহি শহর ঘিরে রাখা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ শক্তিশালী করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা এখনও হুমকির মধ্যে আছি। ’
এদিকে খায়েরপুর নাখান শাহসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় এর মোট ৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে অধিকাংশই কাছের শহরে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
এ বিষয়ে মেমন বলেন, ‘খায়েরপুর নাখান শাহ, সেহার এবং দাদু জেলার আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে এখনও অবস্থান করা কয়েক হাজার বাসিন্দাকে নৌবাহিনীর নৌযান ও হেলিকপ্টারের সাহায্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ’
এদিকে শনিবার দেশটির ত্রাণ তৎপরতা বাড়িয়ে আরও ছয় মাস করার ঘোষণা দেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইউসুফ রাজা গিলানি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১০