কাঠমাণ্ডু: নেপালের সংসদ মঙ্গলবার সপ্তমবারের মতো নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য ভোট গ্রহণ করতে যাচ্ছে। রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটানো এবং হুমকির মুখে পড়া শান্তি প্রক্রিয়াকে সচল করার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিরোধী মাওবাদী দলের চাপের মুুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল পদত্যাগ করার পর ৩০ জুন থেকে দেশটি সরকার ছাড়াই চলছে।
এরপর থেকে নতুন প্রশাসনের গঠন কাঠামো বিষয়ে নেতারা ঐক্যমতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। একইসঙ্গে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের উদ্দেশ্যে এর আগে ছয়বার নির্বাচনের আয়োজন করে প্রতিবারই ব্যর্থ হয় ৬০১ আসন বিশিষ্ট সংসদ।
২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসা মাওবাদী দল সংসদে সবচেয়ে বেশি আসনের অধিকারী হলেও এককভাবে সরকার গঠনের জন্য দলটির পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।
প্রচণ্ড নামে অধিক পরিচিত মাওবাদী নেতা পুষ্প কমল দহল সংসদের দ্বিতীয় বৃহৎ দল নেপালি কংগ্রেসের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র পৌদেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। কিন্তু, নতুন জোট সরকার গঠনে সব প্রার্থীই গত ছয়বার বিরোধী দলের পর্যাপ্ত সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়।
এদিকে, গত নির্বাচনের সময় থেকে মাওবাদী দল সংসদের ৮২ টি আসনধারী ুদ্র চারটি দলের সঙ্গে জোট গঠন বিষয়ে আলোচনা করলেও এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।
রোববারের নির্বাচনে প্রচণ্ড ২৪০টি এবং পাওদেল ১২২টি ভোট অর্জন করেন। তবে নেপাল-ইউনিফাইড মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট (ইউএমএল) নামের নেপালের তৃতীয় বৃহত্তম দল বরাবরই এ নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে আসছে।
এদিকে মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় ভোটে মাওবাদীদের সমর্থনের বিষয়ে ুদ্র দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
মাওবাদী দলের জ্যেষ্ঠ নেতা কৃষ্ণ বাহাদুর মাহারা বলেন, ‘আমাদের ভোটের সংখ্যা বাড়াবে বলে আমরা আশা করছি, তবে এর পরিমাণ কত হবে এ বিষয়ে এখনই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। ’
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১০