বাগদাদ: ইরাকে বিনা বিচারে দীর্র্ঘ দিন জেলে আটক রয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তারা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যতনের শিকার হচ্ছেন।
লন্ডন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির মতে, প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বিনা বিচারে ইরাকের বিভিন্ন কারাগারে আটক রয়েছেন। আটক অবস্থায় অনেকের মৃত্যুও হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার পরিচালক বলেন, ‘ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী আটক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ি। ইরাকের কর্তৃপক্ষকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। যেহেতু তারা ইরাকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। ’
অ্যামনেস্টির ৫৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, রিয়াদ মুহাম্মদ সালেহ আল-ওকাইবকে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে আটক করা হয়। আটক অবস্থায় তাকে প্রচন্ড নির্যাতন করা হয়েছে। তার বুকে আঘাত করা হয়েছে। এতে তার পাঁজরের হাড় ভেঙ্গে গেছে। তার যকৃত নষ্ট হয়ে গেছে। অভ্যন্তরিন রক্তক্ষরণে গত ১২ অথবা ১৩ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়েছে।
সংস্থার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আটকৃত অবস্থায় নির্যাতনের সময় বন্দীকে রশি দিয়ে বেধে পেটানো হচ্ছে। তাদের অঙ্গ প্রতঙ্গ ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে।
গত এপ্রিলে মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছিল বাগদাদের গোপন কারাগারে বন্দীদের নির্যাতন করা হচ্ছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইরাকের আইন মন্ত্রী দারা নুরেদ্দিন বলেছেন, ‘আমরা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১০