চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। এরপর তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে বৈশ্বিক মহামারি আকার ধারণ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের উহানের জিয়াংজিয়া জেলায় চারজন উপসর্গবিহীন করোনা রোগী শনাক্তের পর সেখানকার বাসিন্দাদের তিন দিনের জন্য তাদের বাড়িতে বা আঙিনার ভেতরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
করোনা মহামারির শুরু থেকে ‘জিরো কোভিড’ নীতি অনুসরণ করে আসছে চীন। এতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় চীনে করোনায় কম মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু চীনের এই ‘জিরো কোভিড’ নীতি ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছে। কারণ দেশটির মানুষ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বিধিনিষেধের চাপের ক্ষতির মুখে পড়ছে।
উহানের জনসংক্যা প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ। নিয়মিত পরীক্ষায় চীনের উহানে দুদিন আগে দুজন উপসর্গবিহীন রোগী শনাক্ত হয়। এরপর কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে আরও দুজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। যা ২০২০ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে বলা হয়েছিল, উহান শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত হুনান সি-ফুড মার্কেট থেকেই প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। এই সপ্তাহের শুরুতেও বিজ্ঞানীরা বলছেন যে উহানের সামুদ্রিক খাবার এবং বন্যপ্রাণীর বাজার কোভিড প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র বলে জোরালো প্রমাণ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, চীনে এ পর্যন্ত ২২ লাখ করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে করোনায় মারা গেছেন ১৪ হাজার ২৭০ জন।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
ইআর