যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে গিয়ে রাজধানী তাইপের যে বিমানবন্দরে নামবেন সেটি উড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আরটি নেটওয়ার্ক'র খবরে বলা হয়েছে, কে বা কারা যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকারের সফরে বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
চিঠি পাওয়ার পর বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে তাওইউয়ান কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আরটি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাওইউয়ান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকালের দিকে একটি চিঠি আসে। এতে বলা হয়, বিমানবন্দরের তিনটি স্থানে বোমা রাখা হয়েছে। মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এ বিমানবন্দরে নামলে বোমাগুলো একসঙ্গে বিস্ফোরিত তবে।
চিঠি পাওয়া মাত্র তাইওয়ানের এভিয়েশন পুলিশ ব্যুরোকে বিষয়টি জানায় কর্তৃপক্ষ। অল্প সময়ের মধ্যেই বিমানবন্দর জুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, পেলোসির সফর কেন্দ্র করে তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যেকোনো রকম সংঘাতময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে রক্ষায় এ ব্যবস্থা নেয় মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
সিএনএন’র খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবারই তাইওয়ানের রাজধানীতে পৌঁছবেন পেলোসি। তাইওয়ানের পূর্ব দিকের উপকূলে একটি বিমানবাহী রণতরীসহ চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগান দক্ষিণ চীন সাগর পাড়ি দিয়ে বর্তমানে ফিলিপাইন সাগরে তাইওয়ান ও ফিলিপাইনের পূর্বে ও জাপানের দক্ষিণে রয়েছে।
মার্কিন নৌ-বাহিনীর এক কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরও বলেন, ভারী কিছু অস্ত্র সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে এসব অস্ত্র কাজ করতে প্রস্তুত।
ন্যান্সি পেলোসির সফর নিয়ে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি চলে আসছে বেশ কয়েকদিন ধরে। সোমবার (১ জুলাই) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানও পেলোসির সফর নিয়ে কড়া হুমকি দেন। মঙ্গলবার পাওয়া হুমকির ব্যাপারে চীনের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা কোনো ধরনের মন্তব্য করেননি।
বাংলাদেশ সময় : ১৯৪৫ ঘণ্টা, ২ আগস্ট, ২০২২
এমজে